ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী মার্কিন হেলিকপ্টার কিনছে ভারত

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৪৫ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ফ্রান্সের থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ইস্যুতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। তখনই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা) খরচ করে ২৪ অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার এমএইচ ৬০ রোমিও কিনতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ চিহ্নিত করা যাবে আকাশ থেকেই। শুধু চিহ্নিত করাই নয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হেনে তাকে ধ্বংসও করবে এই হেলিকপ্টার।

মার্কিন সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, সিঙ্গাপুরে একটি সম্মেলন চলাকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্ত্র মোদির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রথম কথা হয়। তারপর থেকেই গতি পেয়েছে অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জরুরি ভিত্তিতে এই হেলিকপ্টার কেনা প্রয়োজন বলে আমেরিকায় ইতমধ্যেই পৌঁছে গেছে ভারতের চিঠি। গত বেশ কিছু দিন ধরেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে বাড়ছে বোঝাপড়া। তারই অংশ হিসেবে এই হেলিকপ্টার চুক্তি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমএইচ ৬০ রোমিও, এই হেলিকপ্টার বানায় মার্কিন সংস্থা লখিড মার্টিন। তাদের সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যেই চুক্তি স্বক্ষর করতে চলেছে ভারত, এমনটাই জানা যাচ্ছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।

দেশের উপকূল সুরক্ষিত রাখতে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োজন আছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই জানাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। এই চপার কেনা হলে ভারত- মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবসার পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যা ভারত মার্কিন সম্পর্কের সর্বকালীন রেকর্ড।

আর্জেন্টিনায় আগামী ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর জি ২০ সম্মেলন। সেখানে মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকেই পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এই মুহূর্তে মার্কিন নৌসেনা ব্যবহার করে ‘এমএইচ ৬০ রোমিও’ চপার।

যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রে নজরদারি চালাতে এবং শত্র‌ু জাহাজ ধ্বংস করতে এটিই পৃথিবীর সেরা হেলিকপ্টার। এটি ব্যবহার করা যাবে ডেস্ট্রয়ার, ক্র‌ুজার এবং বিমানবাহী রণতরী থেকেও। ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই চপার ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/এসআই)