সিলেট-২

আ.লীগে দুই চৌধুরী, বিএনপিতে ইলিয়াস পত্নী ও ছেলে

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪২

সিলেট ব্যুরো

প্রবাসী অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত সিলেট-২ আসন এবার কার দখলে যাবেÑ এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি জিতেছে। এবারও তিনটি দলেরই চোখ আসনটিতে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে জোটে না থাকলেও আসনটিতে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। এবার দুই দল আবার হচ্ছে জোটবদ্ধ। ফলে বর্তমান সংসদ সদস্য আবার আশাবাদী। তবে নৌকা চাইছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। আবার বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা অথবা তার ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্ণবের ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বনাথ ও নবগঠিত ওসমানী নগর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি। ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৪ হাজার ১২৬ জন।

২০০১ সালে এখানে বিএনপির ইলিয়াস আলী সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে ইলিয়াসকে হারিয়ে জেতেন আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয় পান জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহহিয়া চৌধুরী।  

এবার আসনটিতে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের ছয়জন প্রার্থী সংগ্রহ করেছেন দলীয় মনোনয়ন ফরম। এরা হলেনÑ সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তৌফিক রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহিদ আলী মিঠু ও যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান।

তবে আলোচনায় আছেন দুই চৌধুরী; শফিকুর রহমান এবং আনোয়ারুজ্জামান।

শফিকুর রহমান চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জনতার ভোটে বিএনপির কাছ থেকে এই আসনটি পুনরুদ্ধার করি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেই। তারপরও নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের ভালোবাসা আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আগামীতে দলের মনোনয়ন পেলে আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।’

বিএনপিতে প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী না পুত্র

ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর স্থানীয় বিএনপির হাল ধরেন তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। বিএনপি থেকে তিনি প্রার্থী হবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত ছিল এতদিন। তবে এ আসনে মায়ের পর দলের মনোনয়ন ফরম ইলিয়াসপুত্র আবরার ইলিয়াস অর্ণব। আর এ কারণেই প্রশ্ন উঠেছে মা নাকি ছেলের হাতে উঠবে ধানের শীষের মনোনয়ন?

লুনা বলছেন, ‘যদি কোনো কারণে আমি নির্বাচন করতে না পারি তবে সে (অর্ণব) নির্বাচন করবে।’

অবশ্য মনোনয়নের আশায় বিএনপির শরিক খেলাফত মজলিসের মুনতাসির আলীও প্রার্থী হওয়ার আশায় মাঠে কাজ করছেন জোরেশোরে।
আশায় জাপাও

বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়াও রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। আওয়ামী লীগের সাথে জোটের হিসেব-নিকেশে এখানে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।
তবে বেশ আশাবাদী ইয়াহইয়া। বলেন, ‘দলীয়প্রধান এরশাদ আমাকে মাঠে থাকতে বলেছেন।’