রাঙ্গুনিয়ার দরগাহ সড়ক বেহাল

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৩

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দরগাহ সড়কটি। প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ। যাতায়াতের ক্ষেত্রে তারা পড়ছেন নানাবিধ সমস্যায়। একই অবস্থা এলাকার কৃষকদেরও। ফসল, সার, বীজ আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই তারা চরম ভোগান্তির শিকার  হচ্ছেন।

বনগ্রাম, আজিজ নগর এবং নতুনগ্রামের হাজারো মানুষের জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই দরগাহ সড়কটি। কয়েক গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিত্য যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে।  চাষাবাদ এবং কৃষি উৎপাদিত ফসল নিয়ে গুমাই বিলের শত শত কৃষক এই সড়ক দিয়েই চলাচল করেন। দরগাহ টিলার সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফনের জন্য খাটিয়া বা কফিন নিয়ে যাওয়ারও একমাত্র সড়ক এটি।

কিন্তু সংস্কারের অভাবে ১২ ফুট প্রস্থের প্রায় দেড় কিলোমিটারের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির বড় একটি অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের  মাঝখানে বড় পুল থেকে দক্ষিণে দরগাহ টিলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ইটের সলিং উঠে গেছে। বহু জায়গায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি নামলে সড়কের গর্তে পানি জমে। যার ফলে সড়কে মানুষের যাতায়াত চরম ভোগান্তির হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিকশা-অটোরিকশা ছাড়াও ট্রাকের মতো পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে এই সড়কে। বেহাল অবস্থার কারণে এসব যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায় সময় ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। যানবাহন ছাড়াও প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সড়কে হেঁটে চলাচল করেন। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদেরও।

চন্দ্রঘোনা সুফিগ্রামের গ্রাম সমাজ কল্যাণ কমিটির সম্পাদক হোসেন আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সরকারিভাবে সংস্কার হচ্ছে না। এলাকার বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় সড়কের কিছু অংশের সংস্কার হলেও বড় একটি অংশ বেহাল হয়ে পড়ে আছে। এতে মানুষ ও যানবাহনগুলো যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্তহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।  

গুমাই বিলের কৃষক ফজল কাদের বলেন, ‘ধানের চারা, কৃষিপণ্য ও  ধানের বোঝা নিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এই কষ্ট আর সহ্য হয় না।’ এক্ষেত্রে তিনি সড়কের প্রয়োজনীয় মেরামতের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান।

চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিচ আজগর ঢাকা টাইমসকে বলেন, এলজিইডি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কের সংস্কার হয়েছিল। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে এলজিএসপি এবং বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের অর্থেও কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। প্রতি বছর সড়কটি বন্যায় ডুবে যাওয়ায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সড়কের বর্তমান বেহাল অবস্থা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

ঢাকাটাইমস/১৮ নভেম্বর/প্রতিনিধি/এএইচ