তাহিরপুরে চোরাচালানিদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৩২ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৯

নিজেস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইয়াবা ও কয়লা পাচার নিয়ে চোরাচালানিদের দুই পক্ষের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

রবিবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায়ী আশিকনুর (২৮) ও চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী আলতু মিয়া (৩০)কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো আজ
রবিবার সকাল ৫টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা, লালঘাট ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে অস্ত্র মামলার আসামি ল্যাংড়া বাবুল-আবুল মিয়া গ্রুপ ভারত থেকে ৫০মেট্রিক টন কয়লার সাথে ইয়াবার চালান এনে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে মজুত করে রাখে। আর সেই মালামাল আলতু মিয়া-বদিউজ্জামাল গ্রুপ চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর পাচারকৃত কয়লা বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের সোহেল মিয়ার কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়। সোহেল মিয়া ‘চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী’ বলে জানান স্থানীয়রা। ইয়াবার চালান নিয়ে দুধেরআউটা গ্রামের কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি জিয়াউর রহমান জিয়া, মাদক স¤্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমের বাড়িতে ও লালঘাট গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামি কালাম মিয়া, জানু মিয়া ও আব্দুল আলী ভান্ডারীর বাড়িতে নিয়ে পৃথক ভাবে মজুত করে।

এ খবর জানাজানি হওয়ার পর সকাল ৮টায় ল্যাংড়া বাবুল ও আবুল মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে চোরাচালানি আলতু মিয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বেধরক মারধর করে। এ ঘটনার পর দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
অন্যদিকে তারই জেরধরে লাকমা ফুটবল খেলার মাঠে ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত আশিকনুর ও চোরাই কয়লা ব্যবসায় অভিযুক্ত রহিম উদ্দিনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর এই পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষে ১০জন আহত হন।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেকেরঘাট বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আনিসুল হক বলেন, পাচারকৃত চোরাই কয়লা ও মাদকসহ চোরাচালানিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, লাকমা গ্রামের চোরাচালানী ল্যাংড়া বাবুল, লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী কালাম মিয়া, জানু মিয়া, আব্দুল আলী ভান্ডারী, দুধেরআউটা গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া, তাজু মিয়া ও লাকমা গ্রামের চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অস্ত্র, কয়লা, মাদক ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা থাকার পরও তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যার ফলে তারা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সিন্ডিকেডের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র, ইয়াবা, কয়লা, পাথর ও মদ পাচার করে বলে অভিযোগ আছে।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস