হাত-পা ছাড়াই বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফার

জন্ম নিয়েছিলেন হাত আর পা ছাড়া। সবাই ধরে নিয়েছিলেন হয় কিছুদিনের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না হয় সারাজীবন অন্যের সাহায্যে বেঁচে থাকতে হবে তাকে। তবে সবার সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ২৫ বছর বয়সি আহমেদ জুলকারনাইন। নিজের লড়াইয়ের মাধ্যমে অগণিত মানুষকে সাহস দেখাচ্ছেন তিনি।
হাত-পা ছাড়া, কেবল মুখ আর হাতের জায়গার বাড়তি চামড়া দিয়ে ক্যামেরা পরিচালনা করেন তিনি। কেবল শখ নয়, কাজের মূল্যায়ণে ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পেশাদার ও জনপ্রিয় ফটোগ্রাফারের সম্মান পেয়েছেন তিনি। কাজ করে চলেছেন অবিরত। এমন মানুষদেরকে সবাই সহানুভূতির চোখে দেখে কিন্তু আহমেদ কখনো তা চাননি। তিনি বলেন, 'আমি চাইনা মানুষ আমার চেহারা দেখুক এবং ভাবুক আমি কে। আমি শুধু তাদের আমার সৃষ্টিশীলতাই দেখাতে চাই।'
যেদিন আহমেদ বুঝতে পেরেছিলেন তার অক্ষমতার কথা সেদিন থেকেই পণ করেছিলেন হার মানবেন না তিনি। লড়াই শুরু করেছেন বুঝতে শেখার পর থেকে। যেদিন থেকে পেশাদার ফটোগ্রাফার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেদিন থেকেই কাজে লেগে পড়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন অনেকবার তবে সেগুলো থাকে থামাতে পারেনি। নতুন করে শুরু করেছেন আবারো। উঠে দাঁড়িয়েছেন বুক উঁচু করে।
সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাওয়ার ফল পাচ্ছেন তিনি। তার তোলা ছবিগুলো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে। এরই মধ্যে নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিজের চলাচলের সুবধার্থে মানানসই একটি গাড়িও তৈরি করেছেন আহমেদ। শত বা হাজার নয় লাখো প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছেন আহমেদ জুলকারনাইন।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এসআই)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় চার সেনাসদস্য নিহত

জার্মানির আবেদনে সাড়া দেয়নি চীন

শামীমার সন্তান প্রসব, নাগরিকত্ব অনিশ্চিত

আইএস যোদ্ধাদের গ্রহণ করতে ইউরোপের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

ভারতের নানা প্রান্তে নির্যাতন-মারধরের শিকার কাশ্মীরিরা

ইরাকি তরুণীর ৭ সন্তান প্রসব

আদিলকে শ্রদ্ধা: বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার কাশ্মীরের কলেজছাত্র

বিস্ফোরক স্থানীয়ভাবেই সংগ্রহ করা: ভারতীয় জেনারেল

এমপির পদত্যাগের কারণ একটি স্যান্ডউইচ
