কালাইয়ে নবান্ন উৎসবে হরেক মাছের মেলা

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৫৮ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৪১

শামীম কাদির, জয়পুরহাট থেকে

সারি সারি দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার র্কাপ, ব্লাডর্কাপ বিগহেড, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। চলছে হাঁকডাক, দরদাম। এক কেজি থেকে শুরু করে ১৫ কেজি ওজনের মাছ আছে। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ।

এটি বাজারের দৃশ্য নয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে রবিবার দিনব্যাপী মাছের মেলা বসেছে জয়পুরহাটের কালাইয়ে পাঁচশিরা বাজারে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসবেকে ঘিরেই প্রতি বছর মাছের মেলা বসে পাঁচশিরা মাছ বাজারে। উপজেলার, মাত্রাই, হাতিয়র, খোশালিপুর, হাটশর হারুঞ্জ, পুনট, বেগুন গ্রাম, পাঁচগ্রামসহ ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে এ উৎসবের আয়োজন। প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকেই দাওয়াত দেওয়া হয়।

বিশালাকৃতির একটি মাছ মাথার ওপর তুলে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের মাছ বিক্রেতা গোলাম রব্বানী। তিনি ১৫ কেজি ওজনের সিলভার মাছটির দাম হাঁকেন ১১ হাজার টাকা।

২০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিগহেড ও সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

মাছ ক্রেতা অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এড. আজহারুল ইসলাম, অবসর প্রাপ্ত উপ-খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বেলাল হোসেন, সুমীর কর্মকার, দুলাল কর্মকার, আবু তালেব সামসুল আলম জানান, নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে মাছের মেলায় প্রচুর আমদানি, কিন্তু দাম অনেকটা বেশী।

মাছ ব্যবসায়ী অনীল, তামা, বিমল, রেজাউল ইসলাম জানান, মাছের মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হলেও বেচা কেনা সে তুলনায় কম। তারপরও যেটুকু বেচাকেনা হয়েছে, সব খরচ বাদে তাতেই লাভ টিকবে।

মাছ চাষি মো লেবু, মাবুদ, জালাল, মাহমুদ হাসান ও গোলাম রব্বানী জানান, এ মেলাকে কেন্দ্র করে তারা প্রায় এক বছর ধরে পুকুরে বড় বড় মাছ বাছাই করে চাষ করেন।

সে লক্ষ্যে এবার পাঁচশিরা বাজারের মাছের মেলায় বড় বড় মাছ বিক্রি করতে আসেন। কালাই পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে বাড়ি শিখা রানী সাহা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাছের মেলায় এসেছেন। জানান, প্রায় প্রতি বছর এ মেলায় আসেন তিনি এবার তার সঙ্গে এসেছেন ধামইরহাট থেকে আসা বড় ভাইয়ের স্ত্রী অপর্ণা কর্মকার। তারা দুইজন মিলে দরদাম করে ৬৫০ টাকা কেজি দরে ৪ কেজি ৩০০গ্রাম ওজনের একটি কাতলা কিনেছেন দুই হাজার ৮০০ টাকায় মাছে –ভাতে নবান্ন উৎসব পালন হবে।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস