রাজিব-দিয়ার মৃত্যু: আরও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৩৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাসচাপায় মৃত্যুর মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।

এরা হলেন, পুলিশ সদস্য আব্দুস সালাম খান, আসাদুজ্জামান ও মাছুম বিল্লাহ।

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের পর সোমবার অপর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।

এনিয়ে মামলাটিতে মাত্র ১১ কার্যদিবসে ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। মামলাটিতে মোট ৪১ জন সাক্ষী রয়েছে।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে কারাগারে থাকা আসামি জাবালে নুরের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ (৩০), হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন (৩৮) ও চালক মো. জোবায়ের সুমন (৩৬)কে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার অপর ২ আসামি বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী (৪৫) পলাতক রয়েছেন।

অপর আসামি জাবালে নুরের বাসের মালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশের কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

এর আগে মামলায় গত ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ২৯ জুলাই সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আগারগাঁও তালতলা থেকে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা মেট্টো ব- ১১- ৯২৯৭বাসটি ছেড়ে আসে এবং ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৬৫৭ বাসটি সকাল ১০টা ৩০ ঘটিকায় এবং ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৫৮০ বাসটি সকাল ১০টা ৪৫ ঘটিকায় মিরপুর আনসার ক্যাম্প হতে বাড্ডা নতুন বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসগুলো ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ইবি চত্তরে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে একত্রিত হওয়ার পর ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৫৮০ পেছনে পড়ে যায়। অপর বাস ২টি পাল্লাপাল্লি ও রেশারেশি করে বেশি যাত্রী ও বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালাতে শুরু করে। তারা জিল্লুর রহমান ফøাইওভারের ঢাল থেকে প্রতিদিনের ন্যায় অপেক্ষমান যাত্রী ওঠানোর জন্য রেশারেশি অব্যাহত রাখে। যার কারণে বাস ২টি একে অপরকে ৪ বার অভারটেকিং করে। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে আসামি মাসুমের চালিত বাস ফ্লাইওভারে ঢালে রেলিং ও ওয়ালের সাথে ঘষা বা আঘাত লাগায়। ওই সময় যাত্রীরা বাসটি সাবধানে চালানোর জন্য ড্রাইভার ও হেল্পারদের অনুরোধ ও ডাক চিৎকার করে। উক্তরূপ দ্রুত বেপরোয়া বাস চালানোর জন্য তাতে কেউ গুরুত্বর যখম ও মারা যেতে পারে তা জেনেও তারা দ্রুত বেপরোয়া গতিতে বাস চালাইতে থাকে।

এক পর্যায়ে আসামি জোবায়ের কর্তৃক চালিত ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৬৫৭ বাসটি মাসুম বিল্লাহ চালিত ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৯২৯৭ বাসটিকে পেছনে ফেলে ফ্লাইওভারের ঢালের সামনে রাস্তার ওপর দাঁড়ায়ে ডান দিকে রাস্তা ব্লক করে যাত্রী ওঠাতে থাকেন। মুহূর্তের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ চালিত বাসটি ডান দিক দিয়ে যেতে না পেরে স্বেচ্ছাকৃতভাবে বাম দিকে দিয়ে যেয়ে বাসের জন্য অপেক্ষমান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর ১১টা ৩০ ঘটিকার সময় তুলে দেয়। যার কারণে ১৩/১৪ জন ছাত্র ছাত্রী গুরুত্বর আহত হয়। যাদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এছাড়া এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান চৌধুরী, মেহেদী হাসান জিসান, রাহাত, সজিব, জয়ন্তি, প্রথম বর্ষের ছাত্রী রুবাইয়া, ্এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তৃপ্তাসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস