এরশাদের পালিত মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৪ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৫৪

নারায়ণঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পালিতা কন্যা ও জাতীয়  মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের বর্তমান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থক। 

মৌসুমীর নিজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে সোমবার রাতে সোনারগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ফজলুল হক মাস্টার।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, কিছুদিন ধরে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী তার ফেসবুকে জাতীয় পার্টির  মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে তার  মানহানি করছেন। তার লেখায় জাতীয় পার্টির মানহানি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। 
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অনন্যা হুসেইন মৌসুমী বলেছেন, ‘আমি মামলা খাওয়ার মত কিছু করি নাই। সারা জীবন তৃনমূল থেকে কাজ করতে করতে জীবন যুদ্ধ জয়ে হয়ে এখানে এসেছি। কেউ যদি ভেবে থাকে আমি ভয়ে মুখ খুলবোনা সেটা সবার জন্য ভুল হবে। এরশাদ স্যার নিজে আমাকে অনেক কিছু বলেছেন, তার অনেক প্রমাণও আছে। সত্য বলতে আমি ভয় পাইনা। মৃত্যু হলেও মাথা পেতে নেবো।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিডিয়ার ভাই বোনদের অনুরোধক্রমে বলছি আমার অনেক কিছু বলার, প্রমাণিত করার আছে। শুধু স্যারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমারও অনেক প্রমাণসহ দেয়ার আছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা ভালো, বেশী করা ভালো না। আমিও প্রধানমন্ত্রীকে ওপেন চিঠি লিখবো। স্যার কি বলে দেখি শুধু অপেক্ষায় রইলাম।’  

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে এখানে মোশারফ হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পাটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হন। 

এর আগে আসনটিতে অপরিচিতই ছিলেন এমপি খোকা। এক সময় এখানকার জাতীয় পার্টির হাল ধরে ছিলেন মৌসুমী। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী সংগ্রহ ও কমিটি গঠন করেছিলেন। ৫ জানুয়ারির সেই নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এমনকি সাড়ে ৪ বছর তিনি সোনারগাঁয়ে রাজনীতিও করতে পারেননি।

এর আগে এখানে লিয়াকত হোসেন খোকা রাজনীতিতে ছিলেন না। ওই সময় সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ছিলেন মৌসুমী। নির্বাচনের কয়েক মাসের মাথায় উপজেলা জাতীয় পার্টির অফিসে হামলার শিকার হন মৌসুমী। ওই সময় তিনি থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়া হয়নি। পরে তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন। 

এ আসন থেকে এবার লাঙ্গল প্রতীকে মৌসুমী ও এমপি খোকা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর