মামুনের অর্থপাচার মামলায় তিন সাক্ষীকে জেরা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থপাচারে মামলায় তিন সাক্ষীর জেরা গ্রহণ করেছে আদালত।

সাক্ষীরা হলেন, পুলিশ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন এবং মীর আলিমুজ্জামান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ক্রিটি চাকমা।
মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ সাক্ষীদের জেরা করেন।

বিচারক সৈয়দ দিলজার হোসেন জেরা গ্রহণ শেষে আগামী ৫ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এ সম্পর্কে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কেয়েল বলেন, এই তিন সাক্ষীসহ ছয়জন সাক্ষীকে আগে জেরা করা হয়েছিল। কিন্তু টেন্ডারসংক্রান্ত কিছু ডকুমেন্ট বিষয়ে জেরা বাকি ছিল। যা বিচারিক আদালত করতে না দেয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট মঞ্জুর করেন। সে অনুযায়ী জেরা করা হলো।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় অভিযোগ, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলীর রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনীকিকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। না হলে কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন। ওই হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি, এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন। ওই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। পরের বছর ২৯ এপ্রিল দুদক আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, করফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় এ আসামির সাত বছরের কারাদ- দেয় ২০১৩ সালে একই আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/আরজেড/জেবি)