জাপা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ২০:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তফা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। জানিয়েছেন, তাদের চলার টাকাও দেন না জাপা নেতা। উল্টো আরেক নারীর সঙ্গে জড়িয়েছেন অবৈধ সম্পর্কে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন মোস্তফা আল মাহমুদের স্ত্রী নুজহাতুন নেছা। এ সময় সেখানে ছিলেন মোস্তফার দুই সন্তান ওমর ফারুক ও মোবাসের মাহমুদ বুসরা উপস্থিত ছিল।

যদিও জাতীয় পার্টির নেতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি প্রতি মাসে ভরণপোষণ বাবদ দুই লাখ ১৭ টাকা করে দেন। আর তার স্ত্রী চাইছিলেন না তিনি নির্বাচন করেন। আর তাকে ভোটের মাঠ থেকে সরাতে স্ত্রী এই কাজ করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা পতœী বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ রাখেন না, অধিকার হরণ করেন, নির্যাতন করেন, ওই ব্যক্তি সংসদ সদস্য হয়ে জাতিকে শোষণ-নিপীড়ন ছাড়া কী দেবে?’

অপর এক মেয়ের সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন নুজহাতুন।
স্বামীর নির্যাতন বর্ণনা দিয়ে মোস্তফা পতত্নী বলেন, ‘১৯৯৯ সালে ৬ আগস্ট মোস্তফা আল মাহমুদের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় বছরের মাথায় দুই সন্তানের পিতা হওয়ার পর হঠাৎ মোস্তফা বিদেশে (চীন) চলে যান। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।’

‘আমি জামালপুরে অতিকষ্টে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করি। পরে খবর পাই চীনে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করবে। তখন নিজের গহনা বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে আমিও চীনে চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর স্বামী আমাদের ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে মোস্তফা দেশে চলে আসে। তখন বিদেশে খরচ চালাতে না পেরে আট বছর পর প্রবাসীদের সহায়তায় আমিও দেশে চলে আসি।’

জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীর স্ত্রী জানান, বর্তমানে তিনি রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করছেন। দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর তাদের টাকা পয়সা না দিয়ে শাহিনা নামের এক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

স্ত্রীর করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী চায় না আমি নির্বাচন করি। এ কারণেই সে এ ধরনের অভিযোগ করেছে।’

আপনি নির্বাচন করেন, এটা স্ত্রী কেন চাইবে না- এমন প্রশ্নে জাপা নেতা বলেন, ‘তাকে কেউ বুঝিয়েছে নির্বাচন করতে ২০০ কোটি টাকা লাগবে। এ কারণে তিনি চান না আমি ভোটে দাঁড়াই।’

ভরণপোষণ না দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা নেতা বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে ভরণপোষণের খরচ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছি।’