পর্যটক টানছে শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩০

এম এ কোরেশী শেলু, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)

পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্কে ভিড় জমছে পর্যটক-দর্শনার্থীদের। তাদের পদচারণে এখন মুখর পার্কটি।

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকেরা সবুজ পাহাড়বেষ্টিত পাখির অভয়ারণ্যসহ পার্কটির বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে আসছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া বন রেঞ্জের কোদালা বিটের দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর বনাঞ্চলে ২১০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ইকোপার্কটি। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে চন্দ্রঘোনা সেগুন বাগানের কাছে এর প্রবেশদ্বার। পার্কে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২৩ টাকা।

প্রবেশমুখেই রাস্তার ধারে সারিবদ্ধ মিনি খাঁচায় বন্দি খুদে পাখিদের অভ্যর্থনা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। পাশের কৃত্রিম লেকে দেশি-বিদেশি হাঁস ও নানা প্রজাতির পানিজীবী পাখির বিচরণ। লেকের মাঝখানে দ্বীপ। দ্বীপে যাতায়াতের জন্য রয়েছে দীর্ঘ সেতু। লেকের ওপারে দিগন্তবিস্তৃত সবুজ বনাঞ্চল। অরণ্যের স্থানে স্থানে ছাউনি। সবুজ বনে উড়ছে মুক্ত পাখপাখালি। প্রকৃতির কোলে বসে প্রকৃতির পাখিকুলের দিগন্ত ছাড়িয়ে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে প্রাণ জোড়ায় দর্শনার্থীদের।

কয়েকটি ছোট-বড় লেক, বনাঞ্চলে নানা বৃক্ষের ফল-ফসলে উন্মুক্ত পাখির নাওয়া-খাওয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশে অপরূপ শোভামন্ডিত এই পার্ক।

পার্কে রয়েছে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে। সুউচ্চ কয়েকটি টাওয়ারের ওপরে এই রোপওয়েতে সকাল-সন্ধ্যা চলে ১৬টি ক্যাবল কার। লেকপারের স্টেশন থেকে ছেড়ে ক্যাবল কার ৬ নং টাওয়ারের গোড়ায় দ্বিতীয় স্টেশনে অবতরণ করে। সেখানে যাত্রীরা বিস্তৃত পাহাড়ের চূড়ায় বনের আড়ালে বিভিন্ন ছাউনিতে বসে এবং ইচ্ছামতো ঘুরে পাখির অভয়ারণ্য ও প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করেন। চলমান ক্যাবল কারে চড়ে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থাও প্রাণ ছুঁয়ে যায়। ক্যাবল কারের প্রতিটি বগিতে ধারণক্ষমতা চারজন। প্রতিজনের ভাড়া ২৩০ টাকা।

পার্কে রয়েছে মনোরম পিকনিক স্পট, রয়েছে শিক্ষাসফরেরও ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই বাসযোগে যাত্রা করে প্রায় দেড় ঘণ্টায় চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাসস্ট্যান্ড হয়ে নিশ্চিন্তাপুর সেগুন বাগানের কাছে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্কে সহজে যাওয়া যায়। পার্কের অদূরে চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান এবং কাপ্তাইয়ে হোটেল-মোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সকালে এসে সারা দিন পার্কে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় ফেরা যায়।

ঢাকা টাইমস/২২ নভেম্বর/প্রতিনিধি/এএইচ