ফারুক হত্যা মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৩১ জানুয়ারি

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

পরে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে তিন স্বাক্ষীসহ আদালতে মোট ১১জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এমপি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ১৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার সাক্ষী খালেকুজ্জামান, সুরুজ্জামান ও মির্জা রানা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য হাজির করে এবং তাদের স্বাক্ষ্য শেষ করেন। পরে মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে এই তিনজন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করেন। বিচারক আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার অন্যন্য সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। 

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কলেজপাড়া এলাকার তার বাসার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। 

ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/আরকে/ইএস