চাঁদপুরে নারী হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি
চাঁদপুর শহরের আলিমপাড়ার বাসিন্দা জাকিয়া বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে খায়ের মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
নিহত জাকিয়া বেগম আলিমপাড়া শহীদ বেপারীর স্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খায়ের মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মিরপুর গ্রামের মো. জামাল মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর নিহত জাকিয়া বেগম কাউকে কিছু না বলে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তাকে পরে খুঁজে না পেয়ে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর থানায় একজন নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। কিন্তু এর পূর্বেই জাকিয়াকে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। তারই সূত্রধরে ওই থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন বোন পাপিয়া এবং দাফনের পূর্বের জামা কাপড় দেখে তার বোন জাকিয়া শনাক্ত করেন।
নবীনগর থানা পুলিশ জানায়, জাকিয়া বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে বিলে রেখে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে দাফন করেন। এরপর পাপিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আসামি মো. খায়ের মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া ২০১৬ সালের ৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ জানান, মামলাটি গত প্রায় ৩ বছর চলার সময়ে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে এই রায় দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)