রায়পুরায় সংঘর্ষ: নদীতে মিলল আরো দুই লাশ

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ২০:২৪

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ও নিলক্ষা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হয়ে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার চরমধুয়া এলাকার মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাফফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাঁশগাড়ীর বালুয়াকান্দি এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে কাউছার (৩৫) ও রাজনগর এলাকার হয়রত আলীর ছেলে আবদুল হাই (২৮)। তারা দুজনই বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থক ছিলেন। সংঘর্ষের পর তাদের লাশ গুম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের স্বজনদের দাবি, গত শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সংঘর্ষের পর থেকে তারা দুজন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের টেঁটাবিদ্ধ লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও লাশ খুঁজে না পাওয়ায় গুমের অভিযোগ করে আসছিল পরিবার।

বৃহস্পতিবার বিকালে চরমধুয়া ও নিলক্ষার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ঘেরে লাশ দুট ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের হাত পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। এ সময় রশির মাথায় ইট বাঁধা ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাদের শিপন মিয়া নামের এক স্বজন নিহতের লাশ শনাক্ত করেন।

১৬ নভেম্বর সকালে পূব বিরোধের জের ধরে প্রয়াত চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের অনুসারী কবির সরকারের নেতৃত্বে লোকজন জাকির হোসেনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। জাকির হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হাফিজুর রহমান শাহেদ সরকারের অনুসারী। এতে তোফায়েল হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।

পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিলক্ষা ইউনিয়নেও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের অনুসারী ছমেদ আলীর নেতৃত্বে লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের অনুসারী সহী মেম্বারের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে প্রথমে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব হোসেন ও পরে আবদুল হক সরকারের সমর্থক স্বপন মিয়া নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয় কমপক্ষে ৪০ জন।

এ ঘটনায় পুলিশ নিলক্ষা এলাকা থেকে ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় মোট তিনটি হত্যা মামলা ও দুটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির।

ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :