আহমেদ আযমের কপাল পুড়ছে?

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:০৫

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল

বাসাইল ও সখীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-৮ আসনে ভোটে লড়ার স্বপ্ন ছিল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের। তবে বিএনপি জেলার সাতটি আসনে প্রার্থী দিলেও এটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টে জোটের শরিক আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে দেয়ার জন্যই রাখা হয়েছে আসনটি।

কাদের সিদ্দিকী ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে নৌকা নিয়ে লড়াই করেন। তবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করার পর ২০০১ এবং ২০০৮ সালে এই দলের হয়েই ভোটে লড়েন। এবার তিনি বিএনপির শরিক।

এই আসনটিতে বিএনপি প্রার্থী না দেয়ায় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সেখানে ছাড় দেয়া হচ্ছে। যদিও কাদের সিদ্দিকী শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে পারবেন কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে। কারণ খেলাপি ঋণের কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে একবার। আর তিনি ঋণ পুনঃসফসিল করেছেন কি না, সেটি এখনও জানা যায়নি।

জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে দুইজন করে মোট ১৪ জনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টি আজ জানা যাবে।’

যারা পেয়েছেন বিএনপির চিঠি

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও  সরকার শহীদ, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শামছুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে মাইনুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে লুৎফর রহমান মতিন ও আব্দুল হালিম, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মাহমুদুল হাসান ও ছাইদুল হক ছাদু, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে গৌতম চক্রবর্তী ও নুর মোহাম্মদ খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও সাইদুল ইসলাম খান পেয়েছেন মনোনয়নের চিঠি।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/নিজস্ব প্রতিবেদক/ডব্লিউবি)