অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর রামসাগর দিঘি

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:০৮

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর

প্রকৃতির লীলাভূমি দিনাজপুরের রামসাগর দিঘিতে এখন পরিযায়ী অতিথি পাখির সমারোহ। শীত মৌসুমের শুরুতেই এসব পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ভেতরের দিঘিটি।

দিনাজপুর শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে রামসাগর উদ্যান ও দিঘি। ২০০১ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। দিনাজপুরের রাজবংশের শ্রেষ্ঠতম নৃপতি রাজা রামনাথ ১৭৫০ থেকে ১৭৫৫ সালের মধ্যে খনন করান এই বিশাল জলাধার। দিঘিটি ঘিরে রয়েছে কিংবদন্তির নানা ইতিহাস।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, দিঘিটি একসময় ছিল জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। আকাশে উড়ে বেড়াত, দিঘির পাড়ে ও জলে বসত রং-বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। তবে দুই বিভাগের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে সৃষ্ট বৈরী পরিবেশে হারিয়ে যাচ্ছে সেসব। বেশ কয়েক বছর পর ফের পরিযায়ী অতিথি পাখি আসতে শুরু করায় তাই খুশি সবাই।

রামসাগরের ৬৮ দশমিক ৫৪ একর পাড়ভূমি স্থলভাগ বন বিভাগের আওতায় এবং ৭৭ দশমিক ৯০ একর জলভাগ দিঘি নিয়ন্ত্রণ করছে জেলা প্রশাসন। দ্বৈত এই নিয়ন্ত্রণে জাতীয় উদ্যানটির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম আব্দুস সালাম তুহিন।

অন্যদিকে নিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় দিঘির পাখিগুলো আকাশে উড়ছে, কখনো উড়ে গাছে বসছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান। বৈরী পরিবেশে পরিযায়ী অতিথি পাখিগুলোর বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কাই করছেন তারা।

জাতীয় উদ্যান রামসাগর দিঘিতে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম তৈরির দাবি তুলেছেন পাখিপ্রেমী ও স্থানীয় লোকজনও।