টাঙ্গাইলে সিদ্দিকী পরিবারেই পাঁচ প্রার্থী

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের তিনটি আসনের পাঁচজন প্রার্থী প্রভাবশালী সিদ্দিকী পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই দাঁড়িয়েছেন একটি আসনে। একই আসনে আছেন বাবা-মেয়ে।

পরিবারটি মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকলেও এবার এই দলের প্রার্থী হননি কেউ।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন সেখানে।

এখানে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন লতিফের ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী।

টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) আসনে দাঁড়িয়েছেন লতিফ সিদ্দিকীর আরেক ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী।

তাদের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া বাকিরা বিএনপিকে নিয়ে গঠন করা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে চাইছেন। তবে টাঙ্গাইল-৮ ছাড়া এই জেলার অন্য কোনো আসন ফাঁকা রাখেনি বিএনপি।

লতিফ সিদ্দিকী ২০১৪ সালেও নির্বাচন করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে। কিন্তু পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি নিজেকে এখনো আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হিসেবে দাবি করেন। আর স্বতন্ত্র হয়ে ভোটে জিতে আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান।

লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থেকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জেতেন।

কাদের সিদ্দিকী ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে নৌকা নিয়ে ভোট করেন। তবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করার পর ২০০১ ও ২০০৮ সালে নিজ দলের হয়েই ভোটে লড়েন। এবার তিনি বিএনপির শরিক। এর আগে ঋণখেলাপির অভিযোগে তিনি নির্বাচন করতে পারেননি। এ কারণেই কুঁড়ি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

মুরাদ সিদ্দিকী এর আগে ২০০১ ও ২০০৮ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে লড়েন। ২০০১ সালে প্রায় ৭০ হাজার, ২০০৮ সালে ৪০ হাজার ৪৫৬ এবং ২০১৪ সালে ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই তিনি দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এবার তার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কথাও ছিল।

এই জেলার আটটি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র হিসেবে মোট ৮২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে জানা যাবে বৈধ প্রার্থী। আর ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে জানা যাবে চূড়ান্ত প্রার্থী।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/ডব্লিউবি)