‘নৌকা আমার’

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৮

রুদ্র রুদ্রাক্ষ

ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার মিয়াভাই খ্যাত আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক। কিন্তু তারপরও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা ঢাকা উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খানকে। তারা দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রটে গেছে, ক্ষমতাসীন দল এই আসনটি ছেড়ে দেবে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে। দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এরশাদও।

কিন্তু আসনটি শরিক দলপ্রধানকে ছেড়ে দেওয়ার খবরটিকে স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নৌকা আমার। শুধু ঢাকা-১৭ আসনেই নয়, সারা বাংলাদেশের নৌকা আমার। আমি আওয়ামী লীগকে ধারণ করি, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করি। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নৌকা প্রতীককে বিজয়ের মুকুট পরিয়ে দেয়ার সক্ষমতা আমার আছে। মানুষ ভালোবাসে আমাকে।’

গতকাল সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে এই নায়ক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি আজন্ম নৌকা লালন করেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধরে জীবন সাজিয়েছি। সিনেমা অঙ্গনে আওয়ামী লীগকে স্ট্রং করেছি। এসব কিছু বিবেচনা করেই আমাকে টিকিট দেয়া হয়েছে। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তাই সবাইকে অনুরোধ করব ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সেদিন জানা যাবে কি হবে আর কি হবে না। শেখ হাসিনা একজন বিচক্ষণ নেত্রী। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন বুঝে শুনেই নেবেন। যেভাবে বুঝে শুনে আমাকে এই আসনের টিকিট দিয়েছেন সেভাবেই তিনি তার সিদ্ধান্তে অটুট থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’

এ রকম একটা গুজব কেন উঠল বলে মনে হয় এই প্রশ্নে ফারুক হেসে দিয়ে বলেন, ‘গুজব ছড়ানোর জন্যই তো গুজবের জন্ম। আর গুজব ছড়ালে মানুষ আলোচনার মতো বিষয়বস্তু পায়।’

যদি আওয়ামী লীগ সত্যি সত্যি এরশাদকে মনোনয়ন দেয়?

-দেবে না। দিলেও তা হবে দুঃখজনক। আর তখন নেত্রীকে অনুরোধ করব আমি নৌকায় আর সে লাঙ্গলে থাকবে। দুজনই অংশ নেব নির্বাচনে। ইনশাল্লাহ নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে নিয়ে আসব।

এ রকম তো নজির নেই, জোটের প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার।

-নজির নেই তাতে কী? নজির তৈরি করতে হবে। নেই বলে যে হবে না এটা তো না।

আপনার নামে ঋণখেলাপির অভিযোগ আছে, এ কারণেই দল আপনার মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

-ডাহা মিথ্যে কথা। আমার কাছে কেউ একটা পয়সাও পাবে না। আমি সব ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছি। আমার কাছে কোন ব্যাংক টাকা পায় এ রকম  প্রমাণ কেউ দেখাতে পারলে আমি নিজেই আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেব।