সুরমা নদীতে বিলীন হচ্ছে মঈনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৭

সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে সুনামগঞ্জ সদরের মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদীর ভাঙন ইতোমধ্যে চলে এসেছে স্কুলের কিনারে। নদী তীরবর্তী এ স্কুলে পুরনো ভবনটিতেই চলছে কোমলমতি শিশুদের পড়াশুনা। তাদের স্কুলে পাঠিয়ে উদ্বেগ আর আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অভিভাবকগণ।

অব্যাহত ভাঙনের কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে।

আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া স্কুলে ভোটকেন্দ্র থাকায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, ১৯৫৪সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮২সালে বর্তমান টিনশেডের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। স্কুলের সামনে একসময় বিরাট খেলার মাঠ ছিল। গত কয়েক বছর ধরে ভাঙনে মাঠটি এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগেও স্কুলের সামনে প্রায় ২৫-৩০ফুট জমি ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহেই সেগুলো ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। স্কুলের বারান্দার সামনের অংশ থেকে তিন থেকে চার ফুট দূরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্কুলে বারান্দার পিলারের পাশেই দেখা দিয়েছে বিশাল ফাটল। স্কুলের উত্তর-দক্ষিণের সামনের অংশ ভেঙে নিচে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকির কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন অভিভাবকরা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের মূল্যবান জিনিসপত্র পাশের একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার সকালে ভাঙনের তীব্রতা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। এতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলা রাণী পাল বলেন, ‘যেকোনো মুহুর্তে নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে আমাদের স্কুলটি।’

ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান মিয়া বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানেই স্কুলের সামনের অংশ ভেঙে গেছে। যেটুকু বাকি আছে যেকোনো সময়ই ভেঙে যেতে পারে। আমরা তাদেরকে স্কুলের সব জিনিস সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। স্কুলের টিন খুলে পাশের কোথাও খোলা জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও লিখিত আবেদন করা হয়েছে। ’ ঢাকা টাইমস/৩০নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :