সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন এমপি প্রার্থী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৭

হবিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু জাহির গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। বলেছেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই সহযোগিতা দরকার।’

অবহেলিত জনপদ হবিগঞ্জকে ১০ বছরে পাল্টে দেয়ারও দাবি করেন সদর আসনের এই সংসদ সদস্য। আর এই পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা আছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন জাহির। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো জেতা হাজির এবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।

হাজির বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি হবিগঞ্জের সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য বারবার অনুরোধ করেছি। আপনারাও এতে এগিয়ে এসেছেন বলেই আজ হবিগঞ্জ আলোকিত হয়েছে।’

‘আমি জেলা সদরের এমপি হওয়ায় সমগ্র জেলার মানুষ আমাকে তাদের মানুষ মনে করে এবং হবিগঞ্জে যে উন্নয়ন হয়, তার সুফলও ভোগ করেন পুরো জেলাবাসী। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল, সরকারি বৃন্দাবন কলেজে অনার্স-মাস্টার্স, আধুনিক স্টেডিয়াম এবং জুডিসিয়াল ভবনের উপকারিতা পুরো জেলাবাসী ভোগ করছেন।’

এবারের নির্বাচন নিয়ে একটি অংশ তার বিরোধিতা করেছে জানিয়ে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ সুযোগ পেলেই আমার পিছনে লাগে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকার পরও কিছু ফেসবুক প্রার্থী গুজব ছড়িয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তারা কোনো সময়ই আমাকে ভোট দেয় না। আমি নির্বাচনে না আসলে তাদের প্রার্থীর জয়ের সুযোগ হবে, এই আশায় গুজব ছড়ায় তারা।’

‘আল্লাহর উপর বিশ্বাস ছিল হবিগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবার মনোনয়ন দেবেন। যেহেতু আমি ভালো কাজ করেছি, তাই মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আমার কোনও শংসয় ছিল না।’

বিএনপির শাসনামলে হবিগঞ্জের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটিও স্মরণ করিয়ে দেন জাহির। বলেন, ‘তখন তারা টেন্ডারবাজী করেছে। আওয়ামী লীগের কেউ টেন্ডারবাজী করলে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু আমার এই ১০ বছরের সময়ে ছাত্রদল, যুবদলের লোকজন অবাধে টেন্ডার জমা দিয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় হবিগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও লাখাই এবং শায়েস্তাগঞ্জের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাবান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, শফিকুর রহমান চৌধুরী, রুহুল হাসান শরীফ, ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, শোয়েব চৌধুরী, মোহাম্মদ নাহিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম রতন, লাখাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :