তিন দশকের বকেয়া বিলের ফেরে বিএনপি নেতা

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪৫

শেখ খলিলুর রহমান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সরদার নাসির উদ্দিনের (কালু) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায়। তিন দশক হয়ে গেলেও তিনি তিন হাজার ৮১৫ টাকার বিল পরিশোণ করেননি।

১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ল্যান্ডফোন ব্যবহার করেও বিল দেননি নাসির উদ্দিন। রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের এই বিষয়টির কথা উল্লেখ করে বাতিল করেন মনোনয়নপত্র।

যদিও নাছির উদ্দিন দাবি করেছেন তার কোনো বকেয়া টেলিফোন বিল নেই। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই। এতদিন পরে আমার টেলিফোন বিল কীভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। আমি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।’

এই আসনটিতে বিএনপির একজনই মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন দলটির আর কেউ প্রার্থী নেই। এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন ইকবাল হোসেন অপুসহ সাত জন।

টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় বাদ পড়েছেন শরীয়তপুর-২ আসনে জাকের পার্টির বাদল কাজী এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মনোনয়ন পাওয়া সুশান্ত ভাওয়ালও বিল খেলাপি। বাদল কাজীর কাছে ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে দুই হাজার ১২৩ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।

শরীয়তপুর-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আলমগীর কাটা পড়েছেন খেলাপি ঋণের কারণে। শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সফি উদ্দিন মানিক হাওলাদার বাদ হয়েছেন এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষর জমা না দেওয়ায়।

আলমগীর হোসেন স্থানীয় গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর শাখা কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।

সকাল ১০ টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তখন ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই বিকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন পার্থী বিটিসিএল এর রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন পূর্বে সকল বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে হবে।