বাগেরহাটের চার আসনে ২৬ মনোনয়নপত্র বৈধ

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৫৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। রবিবার যাচাই-বাছাই শেষে বাগেরহাটের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস এই তথ্য জানান।

গত ২৮ নভেম্বর বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া তিন প্রার্থী হলেন খুলনা সিটি ব্যাংকে ঋণখেলাপির কারণে বাগেরহাট-১ আসনে জাতীয় পার্টির এস এম আল জোবায়ের, প্রার্থী নিজেই নিজের প্রস্তাবক হওয়ায় বাগেরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টি খ মোস্তাফিজুর রহমান এবং সম্পদের বিবরণী দাখিল না করা ও স্বাক্ষর না থাকায় বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে ন্যাশনালস পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আমিনুল ইসলাম খাঁন।

যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষিত ২৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট ও চিতলমারী) আসনে ৫টি, বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) আসনে ৮টি, বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে ৬টি এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে ৭টি।

মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন,

বাগেরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই এবং বর্তমান সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীন, বিএনপিতে জেলা সহ-সভাপতি মো. শেখ মাসুদ রানা, সাবেক সাংসদ এসএম মুজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. লিয়াকত আলী শেখ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এম ডি শামসুল হক।

বাগেরহাট-২ আসনে আওয়ামী লীগে শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময়, বিএনপিতে জেলা সভাপতি এম এ সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটি এম আকরাম হোসেন তালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মো. আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খান সেকেন্দার আলী, জাকের পার্টির খাঁন আরিফুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এস. এম আজমল হোসেন ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু।

বাগেরহাট-৩ (মংলা-রামপাল) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ও হাবিবুন নাহার, বিএনপিতে জেলার সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম, জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ সেখ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা শাহজালাল সিরাজী, জাকের পার্টির মো. রেজাউল শেখ, জাতীয় পার্টির মো. মো. সেকেন্দার আলী মনি।

বাগেরহাট-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বিএনপির জেলার সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনফ) মো. রিয়াদুল ইসলাম আফজাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. শরিফুজ্জামান তালুকদার, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সোমনাথ দে।

বাগেরহাটের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্র পূরণে ত্রুটি ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে স্বাক্ষর না থাকায় তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত মিলিয়ে এখন ২৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাগেরহাটের চারটি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জামায়াত ও বিএনপি উভয়দলই প্রতীক চেয়েছেন ধানের শীষ। এসব আসনে তারা যদি একক প্রার্থী না দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)