টাঙ্গাইলে ১৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর দুইটিসহ জেলার ৮টি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংকের ঋণখেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। 

এছাড়াও ঋণখেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিএনপির ফকির মাহবুব আমান স্বপন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও বাছাইয়ে আরও যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা হলেন- টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না দেয়ার কারণে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী চাঁন মিয়া, হলফনামায় স্বাক্ষর না দেয়ার কারণে বিএনএফের প্রার্থী আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাকির হোসেন ও আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিলের তারণে স্বতন্ত্র আবুল কাশেম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম, দলীয় মনোনয়ন চিঠিতে দলের প্রধানের স্বাক্ষর না থাকায় ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মামুনুর রহমান ও বিএনএফ দলের সুলতান মাহমুদ, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে ঋণখেলাপির দায়ে খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ মজিবর রহমান, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে ঋণখেলাপির দায়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করা ও বিদ্যুৎ বিল খেলাপির দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলাম, দলীয় মনোনয়ন চিঠিতে দলের প্রধানের স্বাক্ষর না থাকার কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী লতিফ মিয়া,  এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়াকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন।

এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রার্থী ও প্রার্থীর প্রস্তাবকারী-সমর্থক-আইনজীবী এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এলএ)