অরিত্রির ঘটনা হৃদয়বিদারক: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনাকে হৃদয় বিদারক বলেছে হাইকোর্ট। মেয়ের সামনে বাবা-মাকে অপমান করাকে বাজে ঘটনার দৃষ্টান্ত বলে বলেছেন বিচারক।

এই ঘটনায় রিট দায়েরের পরামর্শও দিয়েছেন দুই জন বিচারক। আর আবেদনটি পেলে বুধবার শুনানির কথাও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এরপর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

হাইকোর্টে যখন এই শুনানি চলছিল, তখন বিক্ষোভে উত্তাল ভিকারুননিসার ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন আরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। ছুটে যান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বলেন, শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক। এরই মধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক জিন্নাত আরা।

আগের দিন আত্মহত্যা করে অরিত্রি। পরীক্ষার হলে তার কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যাওয়ায় তার বাবা-মাকে ডেকে অপমান করা এবং তাকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেয়া কথা জানানোয় ওই কিশোরী তা সইতে পারেনি। শান্তিনগরে নিজ বাসায় ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

আইনজীবী সাইয়েদুল হক সুমন এই ঘটনায় গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।’

তখন বিচারক বলেন, ‘অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনা খুবই হৃদয়বিদারক। এ সময় শিক্ষার্থীর সামনে মা-বাবাকে অপমানের ঘটনাকে বাজে রকমের দৃষ্টান্ত।’

আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট নিয়ে আসেন। আমরা আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি করে বিষয়টি দেখব।’

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রবিবার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। তখন আমি ও আমার স্ত্রী স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যাই।’

“ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, ‘মোবাইলে অরিত্রি নকল করছিল।’ আমরা এজন্য ক্ষমা চাইলে তিনি প্রিন্সিপালের কক্ষে পাঠান। প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়েও আমরা ক্ষমা চাই। কিন্তু প্রিন্সিপাল সদয় হননি। এক পর্যায়ে তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাই; কিন্তু প্রিন্সিপাল আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি অরিত্রিকে টিসি (ছাড়পত্র) দেওয়ার নির্দেশ দেন’।”

ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি