বেনাপোলে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী খুন, আটক ৫

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:০২

বেনাপোল প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন কাজীরবেড় গ্রামে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে খুন হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্টস ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে।

নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বেনাপোলের নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর জব্বার তরফদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কাজীরবেড় গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য ৭ লাখ টাকা দেয় নাভারন কাজীরবেড় গ্রামে ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। টাকা নিয়ে বিদেশ না পাঠিয়ে টালবাহনা শুরু করেন বিউটি।

সর্বশেষ গতরাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে বিউটি তার বাড়িতে  ডেকে নেয় জাহিদকে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিউটি যশোর থেকে ৪ জন ভাড়াটে খুনে এনে বাসায় রাখেন। জাহিদ তার বাড়িতে গেলে ঘরে আটকে রেখে বাথরুমে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেয়।

জাহিদের বাড়ীর লোকজন খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বিউটির বাসায় এসে জানতে চাইলে  বিউটি জানান, জাহিদ তার বাসায় আসেনি। পরে তারা বিষয়টি শার্শা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ বিউটিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে জাহিদকে খুন করা হয়েছে।

বিউটির দেওয়া তথ্য পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিউটি খাতুনসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক পাঁচজন হলেন, ঝড়ু ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৪০), মেয়ে সুমী খাতুন (২৫), মুক্তার আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৫০), খালিদের স্ত্রী ফেরদৌসী (৩২) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে।

শার্শা থানা  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তারা ভাড়াটে খুনে দিয়ে জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায়  পাঁচজনকে আটক করেছি। অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর