ভিকারুননিসার শিক্ষক হাসনা হেনা কারাগারে

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে সিএমএম আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান তালুকদার এই শিক্ষককে আদালতে হাজির করেন। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেয় আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সন্ত্রাসবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে হাসনা হেনা শিক্ষকতা করেন। এজাহার এবং প্রতিবেদনে তিনি অরিত্রীকে কোনো ধরনের প্ররোচনা দিয়েছেন, বকাঝকা করেছেন এমন কোনো বক্তব্য নেই। শুধু বলা হয়েছে অরিত্রী ও তার মা-বাবা আসার পর তিনি তাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরার কাছে নিয়ে যান। এর বাইরে একটি বক্তব্যও নেই। তাহলে কীভাবে তিনি প্ররোচনা দিলেন। যে শ্রেণিশিক্ষক আফসানা মোবাইল সিজ করলেন তাকেও এই মামলায় আসামি করা হয়নি। শুধু হয়রানি করার জন্য তাকে আসামি করা হয়েছে। তাই তিনি জামিন পেতে হকদার।

ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, ভিকারুননিসার এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা অভিভাবকসহ সবাইকে নাড়া দিয়েছে। তারা শিক্ষকতার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ করেছে। অরিত্রী যদি অন্যায় করেও থাকে তাদের উচিত ছিল তাকে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তাদের জন্য একটি মেয়ে অকালে ঝরে গেল। ভিকারুননিসার পিয়ন থেকে শিক্ষকরা কোনো অভিভাবকের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। তাই এ আসামির জামিন মঞ্জুর করা সমীচীন হবে না।

শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে শ্রেণি শিক্ষক হাসনাহেনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, গত রবিবার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারীর দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/আরজেড/জেবি)