কান্না-হাসির অপিল শুনানি

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৫০

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস

ইসিতে এসেও প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে কেউ- কেউ যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আবার অনেক প্রার্থী তার প্রার্থিতা ফিরে খুশিতে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। অনেক সমর্থক আনন্দের কেঁদে ফেলেছেন। 

জামালপুর-১ আসনে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বিএনপির প্রার্থী। আপিল শুনানির সময় এজলাসের সামনে তার প্রায় ২০ জন সমর্থক ছিল। প্রায় পাঁচ মিনিট চলে এর যুক্তি। এর পর নির্বাচন কমিশন এ প্রার্থীর আপিলের বিরুদ্ধে আবেদন গ্রহণ করেন। এসময় সমস্বরে সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এসময় মিল্লাতের এক সমর্থক কাঁদতে কাঁদতে এজলাস থেকে বের হয়ে আসেন। দুই চোখে আনন্দ অশ্রু। 

মিল্লাত ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ফৌজদারি মামলায় সাজা প্রাপ্ত। কিন্তু আপিলে তিনি বুঝাতে পারেন, সেই সাজা আগের ছিল। পরে তিনি খালাস হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ ও ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুজ্জামানের প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে আমি মারা যাইনি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রযোজনে মারা যাব। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

কেন প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, জানতে চাইলে আনিস বলেন, ‘এক  শতাংশ ভোটার সঠিকভাবে দেখাতে পারিনি, তাই আপিল গ্রহণ করা হয়নি।’ 

গাইবান্ধা- ৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌফিকুল ফামিল ম-লের আবেদন গ্রহণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘মাই লর্ড, আমার এলাকা প্রত্যন্ত এলাকা। এক শতাংশ ভোটারের যাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে তাদের যাচাই করতে যখন ম্যাজিস্ট্রেট যখন আসল, তার ভয়ে অনেকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আসতে পারেনি। তাই আমার আর তাদের স্বাক্ষর সঠিক কি না সেটা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখাতে পারিনি। পুলিশের ভয়ে অনেকে পালিয়েছে।’ 

৮২ টাকা বিল বকেয়া পরিশোধ করেছে এ সম্পর্কিত কাগজ দাখিল করায় সুনামগঞ্জ-৪ আসনের মোহম্মদ দেলোয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। 

গণজাগরণ মঞ্চের মুখমাত্র ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ইমরান এইচ সরকার। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তানিয়া আমির। বলেন, রায় যদি আগে থেকে ঠিক করা থাকে তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই।’

ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/জেআর/ডব্লিউবি