ড. কামালের কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এনবিআর

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

রোববার সকালে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক প্রশ্নের জবাবে মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া  এ কথা বলেন। তিনি বলেন,  নির্বাচ‌নে যেন প্রভাব না প‌ড়ে সেই বিষ‌য়টি বি‌বেচনা ক‌রে কাজ কর‌ছে এনবিআর।

এন‌বিআর ‌চেয়ারম্যান ব‌লেন, ড. কামাল হোসেন কর ফাঁকি কি না তা খ‌তি‌য়ে দেখ‌ছি। আমরা কাজ কর‌ছি। এ‌টা সময় সা‌পেক্ষ বিষয়। ব্যাংক সার্চ দি‌তে হ‌বে।

তি‌নি ব‌লেন, আপনারা জা‌নেন এই মুহূর্তে য‌দি খড়গহস্ত হ‌য়ে যাই তাহ‌লে অ‌নে‌কে ভাব‌বে যে তিনি বি‌রোধীদ‌লের পক্ষ হ‌য়ে ই‌লেকশন কর‌তে‌ছে এ জন্য ধর‌তে‌ছি।  যাই হোক এ প্র‌ক্রিয়া চালু আ‌ছে।

নির্বাচনে আছে বলেই ছাড় দেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না সিচ্যুয়েশন যাতে ওই লাইনে না যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতেছি। ত‌বে তা‌কে ছাড় দি‌চ্ছি না। 

গত ১৯ নভেম্বর আইনজীবীর আয়কর রিটার্নের বিষয়ে জানতে এনবিআর থেকেচিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চিঠিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেন সার্কেল ১৬৪, ঢাকা কর অঞ্চল ৮-এর একজন করদাতা। বিভিন্ন করবর্ষে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে দুটি (যার একটি ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট) এবং আইএফআইসি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্টসহ মোট পাঁচটি অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপর কর পরিশোধ করেছেন। তবে কর গোয়েন্দারাওই আইনজীবীর নামে এমন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান যেটিতে জমাকৃত টাকার ওপর তিনি কোনো কর পরিশোধ করেননি। এমন কি ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে এনবিআরে কোনো তথ্যও দেননি।

সূত্র জানায়, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় ‘ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে করা, যার নং-০১-১৮২৫৪৪৫-০৩। এখানে তার পেশাগত ফি জমা হলেও আয়কর রিটার্নে এই আয় দেখানো হয়নি। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা জমা হয়। শুধুমাত্র গত অর্থবছরে সেখানে প্রায় ১১ কোটি ১২ লাখ টাকা জমা হয়েছে এবং বছর শেষে নগদ স্থিতি ছিল ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা প্রায়। অভিযোগ উঠেছে এই বিপুল পরিমাণ আয় তার পেশাগত ফি, যা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করেননি এবং সেই ব্যাংক হিসাবটিও তিনি গোপন করেন বলে অভিযোগে রয়েছে।