জার্মানির চ্যান্সেলর থাকবেন মের্কেলই

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জার্মানির খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের(সিডিইউ) নতুন প্রধান আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি চান অ্যাঞ্জেলা মের্কেল চ্যান্সেলর হিসেবে তার মেয়াদের বাকি তিন বছর শেষ করুন৷

গত রবিবার দলের সম্মেলন পরপরই ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ফেডারেল সরকার রয়েছে৷ এই সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে৷ দলের সম্মেলনেও সবার একই মনোভাব উঠে এসেছে, আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছাও তাই।’

তিনি বলেন, ‘সরকারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়াও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব।’

আগামী বছর জার্মানিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং শরণার্থীবিরোধী হিসেবে পরিচিত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি(এএফডি) এই অঞ্চলে আগের নির্বাচনগুলিতে বেশ সাফল্য পেয়েছে৷ ফলে সিডিইউয়ের নতুন প্রধানের কাছে স্বভাবতই প্রশ্ন ছিল, ‘এই ভোটারদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা কী?'

উত্তরে কারেনবাউয়ার বলেন, ‘নিজেদের শক্তিতে৷ প্রথমত, অন্যসব দল কী করছে, তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না৷ আমরা জানি, রাজ্য নির্বাচনগুলোর প্রচারণা খুব কঠিন হবে৷ কিন্তু আমরা সিডিইউয়ের নিজস্ব শক্তি তৈরি করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় অনেক ইস্যু রয়েছে, অনেক অঞ্চলে আমাদের অবস্থান ভালো৷ যেসব রাজ্যে আমরা বিরোধী দলে রয়েছি, সেখানেও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের যৌক্তিক সমালোচনা রয়েছে৷ এছাড়া, সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু ও পেনশনের মতো সাধারণ ইস্যুও রয়েছে৷ আমাদের নিজেদের সুসংগঠিত হতে হবে৷ তবে আগে যেমনটি বলেছি, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হবে নিজেদের শক্তিতে এমনভাবে মানুষের মন জয় করা, যাতে ভোট আমরাই পাই।’

শুক্রবার হামবুর্গে রান-অফ ভোটে কারেনবাউয়ার ফ্রিডরিশ ম্যার্তসকে হারান৷ এর আগে প্রথম রাউন্ড ভোটে ৯৯৯ ভোটের মধ্যে ৪৫০ ভোট পেয়েছিলেন কারেনবাউয়ার৷ ম্যার্তস পেয়েছিলেন ৩৯২ ভোট৷ আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান পেয়েছিলেন ১৫৭ ভোট৷ পরে কারেনবাউয়ার আর ম্যার্তসের মধ্যে রান-অফ হলে কারেনবাউয়ার পান ৫১৭ ভোট আর ম্যার্তস ৪৮৭ ভোট৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মের্কেল তার উত্তরসূরি বিবেচনা করে কারেনবাউয়ারকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসেন৷ মের্কেলের নীতির প্রতি কারেনবাউয়ারের সমর্থনের কারণে মাঝেমধ্যে তাকে ‘মিনি-ম্যার্কেল' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়৷

গত বছর সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে চরম ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানির উত্থানে ব্যাপক সমর্থন হারায় সিডিইউ৷ বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, সিডিইউয়ের পরের অবস্থানে থাকা গ্রিন পার্টির দিকেও ঝুঁকেছেন দলটির অনেক সমর্থক৷

অক্টোবরে হেসে রাজ্যের ভোটে ১০ শতাংশেরও বেশি সমর্থন হারায় সিডিইউ৷ এরপরই আঙ্গেলা মের্কেল ঘোষণা দেন দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর৷

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/এসআই)