বগুড়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা

বগুড়ার ধুনটে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর এবং চারটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার ধুনট পৌর শহরের কলাপট্টি এলাকায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ ঘটনার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামে ধানের শীষের ভোট চাওয়ায় নাদিম ও মাসুম নামের দুই বিএনপি কর্মীকে মারধর করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসময় যুবদল নেতা মুরাদ এর প্রতিবাদ করে। এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রাত ১২টার দিকে মুরাদের বাড়িতে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মুরাদ জানান, আগুনে তার পরিবারের লোকজন প্রাণে বাঁচলেও বাড়ির আসবাবপত্র ভষ্মীভূত হয়েছে।

এদিকে বগুড়া-৬ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ মঙ্গলবার সকালে ধুনটে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। বেলা ১১টার দিকে চারটি জিপ এবং শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রামের যুবদল নেতা মুরাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

তার গাড়ি বহর ধুনট পৌর শহরের কলাপট্টি এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সিরাজের গাড়িবহরে হামলা করে। গাড়িবহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং জিপসহ আরও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।

খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে হুকুম আলী বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের অভিযোগ, ‘পরিকল্পিতভাবে তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।’

শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা কুলখানি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ঢাকা টাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/ওআর