মাদারীপুরে পুলিশ হত্যায় ২০ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৬ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

মাদারীপুর জেলার স্পেশাল ব্রাঞ্চের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন আজম খান ও অফিস সহকারী কামরুল আলম ঠাকুরকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়ার মামলায় ২০ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ২০ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক  মনির কামাল এ রায় দেন।  রায়ে একই সঙ্গে অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।    

যাজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন,  জসিম শেখ, মাথিম শেখ, মজনু মাতুব্বর, উজ্জল হাওলাদার  জাফর মাতুব্বর, পুব্বাস মাতুব্বর,  ছগির মোল্লা, দাদন  ফকির, আমির হোসেন শেখ,  ফয়েজ  শেখ, দিপু  ওরফে  টিপু বিশ্বাস, বজুল আকন, আজাদ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা, শুকত মোল্লা ওরফে সুগু মেম্বার, মোশারফে শেখ,  আশরাফ শরীফ,  হালিম আকন,  সিরাজ শিকদার ও সুমন বাঘা। 

এ মামলায় শাহাদত আকন, মোশারফ হোসেন মোল্লা চেয়ারম্যান, মোতালেব মেম্বার, মাসুদ শিকদার,  হেলাল শিকদার, আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম বাবু খালাস পেয়েছেন। 
এছাড়া এ মামলার বিচার চলাকালে ছয় আসামি মারা যাওয়ায় আগেই তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

২০০৫ সালের  ৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে দ-িত আসামিরা এসআই আবুল হোসেন আজম খান ও অফিস সহকারী কামরল আলম ঠাকুরকে  মোটরসাইাকেল যোগে অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ করেন। পরে পাশ্ববর্তী কুমার নদীর পাড়ে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে  দেওয়া হয়। 
এ ঘটনার মামলায় ২০০৮ সালের ৬ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে  ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ভূমিকা রাখে। তারা জরুরি সেবা দেয়, জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের সেতুবন্ধ তৈরি করে। অথচ সর্বহারা নামের এই উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জন্য এই বিচার করেছি।”

ঢাকা টাইমস/১২ ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/ওআর