আইএসআই এজেন্টের নামে ফোনালাপ বানোয়াট: মোশাররফ

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের কথা অস্বীকার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন, তার ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন ও নির্বাচনী প্রচার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য বানোয়াট অডিও প্রচার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন। যার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে অডিও প্রকাশ হয়েছে, তাতে চেনেন না বলেও দাবি করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কখনো কথা বলিনি। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না।’

বুধবার কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালে  আইএসআইয়ের কথিত এজেন্ট মেহমুদের সঙ্গে মোশাররফ হোসেন টেলিফোনালাপের অডিও প্রচার হয়। এতে বিএনপি নেতা আইএসআইয়ের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার কথাও শোনা যায়। আর মামলা ও পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তের জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না বলে মেহমুদের একজন এজেন্টের সঙ্গে দেখা করার কথাও বলা হয়েছে ওই অডিওতে।

মোশাররফ এবার কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এর একটিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভুঁইয়া এবং অপরটিতে সেলিমা আহমাদ মেরী।

এই ফোনালাপের সূত্র ধরে কুমিল্লায় বিএনপির এই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছেন একজন আওয়ামী লীগ নেতা।

বিবৃতিতে মোশাররফ বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া, অনলাইন ও গণমাধ্যমে থাইল্যান্ডভিত্তিক পোর্টাল ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে আমার সঙ্গে মেহমুদের কথোপকথনের একটি বানোয়াট ফোনালাপের ভিডিও প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। এ ভিডিওটি আমার ভাবমুর্তি নষ্ট, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা কাজে বিঘ্ন ঘটানো এবং আমাকে বিব্রত করার জন্য নির্বাচনী প্রচারণার এ সময়ে বানোয়াট ও সৃজিত এ ভিডিওটি রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে।’

‘মেহমুদ নামে এ ব্যক্তিকে আমি চিনি না বা ভিডিওতে কথিত আইএসআই এর কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকেও চিনি না। কথিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে বা আইএসআইএর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কখনও আমার কোনো ধরনের কথোপকথন হয়নি।’

মোশাররফ বলেন, ‘আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রচারকাজে ব্যস্ত থাকায় প্রেস ব্রিফিং করে ওই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে পারছি না। এ অবস্থায় উল্লেখিত সৃজিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফোনালাপের ভিডিওটি প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহল ও ব্যক্তির কাছে অনুরোধ করছি।’

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও বিএনপিকে আইএসআইয়ের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয় গণমাধ্যমে এসেছে। পাকিস্তানের আদালতেই সংস্থাটির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান। তবে সেই অভিযোগও বিএনপি অস্বীকার করেছে।