মুছাব্বিরসহ বিএনপির ১৫ জন রিমান্ডে কারাগারে ৩০

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০৩

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের অন্য ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে এবং ৩০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মুছাব্বিরসহ ওই আসামিদের রাজধানীর ২০টি থানার ৩০টি মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানায় পুলিশ।
বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে মুছাব্বিরসহ ১৫ জনের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে এবং ৩০ জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  
মুছাব্বিরের দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল মতিন। আদালত একদিন মঞ্জুর করেন।

এ আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বিকালে শেরেবাংলানগর থানার পূর্বরাজাবাজার নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খনা বানচালে ষড়যন্ত্র করেন বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও শেরেবাংলানগর থানা এলাকায় তার নেতৃত্বে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাশকতার মূল হোতা হিসেবে বিএনপির মূলদলের আস্থাভাজন হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে তাকে তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি পদ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। তাকে এলাকার লোক বোমা মুছাব্বির বলে জানেন। তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও শেরেবাংলানগর থানায় ৩৯টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তার স্বীকারোক্তিমতে একশটির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

কারাগারে ও রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শাহাবাগ থানার  সৈয়দ জাহিদ হোসেন, আলী আরশাদ ও জাকির হোসেন, যাত্রবাড়ী থানার দবির হোসেন, হানিফ শেখ, নওশের আলম, রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক হোসেন, হানিফ দেওয়ান ও হেদায়েতুল ইসলাম, পল্টন থানার মো. আমির হোসেন, এবাদুল হক জাহিদ, মো. হুমায়ুন কবির, মিতু রহমান প্রিন্স, জসিম উদ্দিন, হাসানুজ্জামান, সাইদুল ইসলাম মিলন, নুর ইসলাম ও রেজাউর রহমান, শাহজানপুর থানার মো. মিরাজ ও সাইফুর রহমান মানিক, সবুজবাগ থানার কাজী কামরুল ইসলাম, বারিক আহমেদ, হামিদুল হক ও রিফাত, চকবাজার থানার সাইফুদ্দিন, রমনা থানার মো. রাসেল খান, শুক্কুর আলী, কদমতলী থানার মো. মাহাবুবুর রহমান, আক্তার হোসেন মনা ও আহমেদ সাইফুল,  বিমানবন্দর থানার বাবুল হোসেন ও মোতাহার হোসেন, বনানী থানার বাচ্চু মিয়া, হাতিরঝিল থানার মতিউর রহমান ও মো. রবিন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার জাকির হোসেন, সাহাদাৎ হোসেন, আশরাফ আলী ও জাহির, শেরেবাংলানগর থানার মো. হাসিবুর রহমান, সামসুল ইসলাম, ভাষানটেক থানার ফারুক হোসেন, মোহাম্মাদপুর থানার ওসমান গণি, সাইফুল ইসলাম সাজু, এসএম আবু জাঈদ নাইম ও কামাল ওরফে তরকারি কামাল, শাহআলী থানার মো. বারেক, দারুসসালাম থানার মো. রানা ওরফে মাসুদ রানা, কলাবাগান থানার মিজানুর রহমান বাবুল এবং নিউমার্কেট থানার নুরুল অমি।

(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/জেডআর/এআর)