বগুড়ার মুদ্রণপল্লীতে রাত-দিন একাকার

প্রতীক ওমর, বগুড়া
| আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৬ | প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:২১

দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী জোয়ার। এই সময়ে বেশির ভাগ ব্যবসায় মন্দা ভাব চললেও চাঙা হয়ে উঠেছে মুদ্রণ ব্যবসা। বগুড়ার মুদ্রণপল্লীতে প্রতিদিন গড়ে কোটি টাকার পোস্টার লিফলেট ছাপা হচ্ছে। প্রেসগুলোতে দিন-রাত চলছে পোস্টার আর লিফলেট ছাপার কাজ। শ্রমিক-মালিকরা রাত-দিন একাকার করে কাজ করছেন।

শুধু বগুড়া নয় উত্তরাঞ্চলের সব জেলার ছাপার কাজ হয় বগুড়া শাপলা মার্কেটে। গুণগতমান ভালো হওয়ায় এবং উত্তরের অন্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত ছাপাখানা না থাকায় বগুড়াতে আসতে হয় সবাইকে। ছাপাখানার পাশাপাশি কাগজ এবং কালির দোকানগুলোতেও বেচাকেনা বেড়েছে।

কথা হয় শাপলা মার্কেটের বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা টাইমসকে জানান, নির্বাচনের প্রচারপত্র, পোস্টার ছাপার কাজে রাতে ঘুম বন্ধ হয়েছে সপ্তাহখানেক ধরেই। তিনি বলেন, ‘উত্তরের প্রায় সব জেলার নির্বাচনী কাজ এই মার্কেট থেকে হয়ে থাকে। সব প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ এক সাথে হওয়ায় বর্তমানে প্রচুর কাজের চাপ এই মার্কেটে। এতে জমে উঠেছে এই পল্লীর ব্যবসা।’

বগুড়ার শাপলা মার্কেটের প্রেসপট্টির কর্মচারীদের সঙ্গে এখন কথা বলার সময় নেই। কেউ কম্পিউটারে পোস্টারের ডিজাইন করছে, কেউ ব্যস্ত প্রিন্টের কাজে।

বগুড়ার ডিজাইন হাউজ ডটফেয়ারের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নির্বাচনের কাজের চাপে অন্য কোনো কাজের সুযোগ পাচ্ছি না। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্যালেন্ডারসহ অন্যান্য প্রকাশনার কাজ আটকে আছে।’

বগুড়া শহরে ছোট-বড় তিন শতাধিক ছাপাখানা আছে। এসব ছাপাখানার প্রত্যেকটি এখন নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যস্ত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ার সাতটি নির্বাচনী আসনের পাশাপাশি উত্তরের ১৬ জেলার সব পোস্টার বগুড়া থেকে ছাপা হয়। এখানে বড় সাইজের এক হাজার পোস্টার ২১০০ টাকা দরে ছাপানো হচ্ছে।

অপরদিকে পিভিসির ব্যবসাও চলছে পুরোদমে। নির্বাচনী ফেস্টুন ব্যানার প্রিন্ট হচ্ছে রাতদিন।

প্রেসের পাশাপাশি জমজমাট চলছে মাইক সার্ভিসের ব্যবসা। শহরের চেলোপাড়া, কালিতলা ও শিববাটি এলাকায় মাইক সার্ভিসের দোকানগুলো ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতীক বরাদ্দের কয়েক দিন আগে থেকেই প্রার্থীরা মাইক বুকিং দিয়ে রেখেছে। মাইকের চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেকে পুরাতন মাইক মেরামত করে ভাড়া দেয়ার উপযোগী করে তুলছে। চেলাপাড়ার রাজু মাইক সার্ভিসের কর্মচারী সুমন ঢাকা টাইমসকে জানান, একসাথে এত মাইকের অর্ডার পাওয়া গেছে যে, পুরাতন মাইক মেরামত করে ভাড়া দিতে হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :