মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা ফেরাবে বিএনপি

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ক্ষমতায় যেতে পারলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ফিরবে নারী ও প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর কোটাও।

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে গতকাল দেওয়া ইশহেতারে এই কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ইশতেহারে বলা হয়, ‘একটি দক্ষ, স্বচ্ছ, গতিশীল, মেধাবী, জবাবদিহি মূলক যুগোপযোগী ও গণমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠী কোটা ব্যতিরেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। গতিশীল বিশ^ায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের আলোকে একটি যথোপযুক্ত সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হবে।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে যত ধরনের কোটা ছিল তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে নানা সময় আন্দোলন হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ৩০ শতাংশ কোটা ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এই কোটার আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদেরও আনে।

সে সময় এই কোটা বাতিলের দাবিতে জামায়াত অনুসারীদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়। তবে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আবার তারা মাঠে নামে ২০০৮ সালে। সেসব আন্দোলন পাত্তা না পাওয়ার পর চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে একটি সংগঠন কোটা সংস্কারের কথা বলে মাঠে নামে।

এই সংগঠনটি সব মিলিয়ে কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানায়। তবে আন্দোলনকারীরা প্রধানত কথা বলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। বিএনপি এই আন্দোলনে সে সময় সমর্থন জানায়।

আর এই আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সব ধরনের কোটা তুলে দিয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়াও ১০ শতাংশ করে নারী ও জেলা কোটা, পাঁচ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল।