সুনামগঞ্জ-৩

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী পাশার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৪ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪১

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনের বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা শাহীনুর পাশার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত এই পরোয়ানা জারি করে।

পাশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চৌধুরী আবাসন ব্যবসার কথা বলে মোহাম্মদ আলী তালুকদার নামে এক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করে তিনি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর পাশার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন মোহাম্মদ আলী।

সরকারী কৌঁসুলির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী তালকদার ঢাকার বনানীর বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। পাশার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে তার পরিচয়। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নামে পাশার একটি আবাসন প্রকল্প আছে জানিয়ে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগে মোহাম্মদ আলীকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। মোহাম্মদ আলী ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কয়েক দফায় ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন।

কিন্তু পাশা গোপনে প্রকল্পটি বিক্রি করেন। এরপর মোহাম্মদ আলী বারবার যোগাযোগ করলেও পাশা টাকা দেননি। চলতি বছর টাকা পরিশোধের জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন তারিখের ২০ লাখ টাকার মোট চারটি চেক দেন পাশা। কিন্তু চেকগুলো ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় জমা দিলে প্রত্যাখ্যান হয়। এরপর পাশার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা তিনি লভ্যাংশসহ ফেরত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২২ অক্টোবর পাশা পাওনা টাকার কথা অস্বীকার করেন। এর পরই মামলা করেন মোহাম্মদ আলী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘শাহীনুর পাশা সিলেটে থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে সিলেট কোতোয়ালি থানা ও তার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পাঠানো হয়েছে।’

এ সম্পর্কে জানতে শাহিনুর পাশার মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত পাশা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর শুনে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।’

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি শুনেছি। তবে আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র আমাদের হাতে আসেনি।’

২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে শাহীনুর পাশা চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ মান্নানের কাছে হারেন। এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ এমএ মান্নান।

ঢাকা টাইমস/১৯ ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/এএইচ