মাছে অভাব দূর, মিটছে চাহিদাও

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫৯

দুই বছর আগেও পুকুরগুলো পতিত ছিল। স্থানীয়ভাবে লিজ নিয়ে সংস্কারের পর এখন চলছে মাছচাষ। এতে লাভবান হচ্ছেন বেকার যুবক ও অসচ্ছল পরিবারের সদস্যরা। দুই দফায় মাছ বিক্রির লভ্যাংশ পেয়ে খুশি তারা।

দিনাজপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় সমবায়ভিত্তিতে মাছের উৎপাদন বাড়ছেই। এসব আধুনিক মাছের খামারের সাফল্য দেখে নতুন করে আরও অনেকেই ঝুঁকছেন মৎস্য চাষে। ফলে একের পর এক গড়ে উঠছে অসংখ্য খামার।

বোচাগঞ্জ উপজেলার মুশিদহাট ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মুশিদহাট গরুহাটির প্রায় এক একর আয়তনের ডুমুরিয়া পুকুরে কার্প মিশ্র মাছ চাষের প্রদর্শনী খামারে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ২৫ সদস্যের সমবায় সমিতির মাধ্যমে চলছে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ।

প্রকল্প পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান চৌধুরী ও দলনেতা মো. গোলাম মোস্তফা লিটন জানান, সরকারি খাসজমি লিজ নিয়ে গড়ে উঠেছে এলাকাভিত্তিক এসব আধুনিক মাছের খামার। উৎপাদিত মাছ দিয়ে জেলার আমিষের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের, অভাব দূর হয়েছে অসচ্ছল পরিবারগুলোর।

মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মেছবাহুল হক জানান, এসব আধুনিক মাছের খামারের সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। আরও অনেকেই ঝুঁকছেন মৎস্য চাষে। আশাবাদী মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তারাও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :