‘নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না’

রুদ্র রুদ্রাক্ষ
 | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৫

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান সম্প্রতি একটি ভিডিওবার্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দুই দেখা যাচ্ছে। কেউ দাবি করছে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন শাকিব খান, আবার কেউ কেউ শাকিবের পক্ষ নিয়ে পাল্টা যুক্তিযুদ্ধে মেতেছে সমালোচকদের সঙ্গে। তবে শাকিব মনে করেন, ঠিক দলটির জন্যই ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন তিনি। জানালেন কেন তিনি নিরপেক্ষ নন, কেন তিনি ভোট চাইছেন নৌকা প্রতীকের হয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুদ্র রুদ্রাক্ষ।

দলীয় প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় কেউ কেউ বলছে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন আপনি। কীভাবে দেখেন বিষয়টা?

নিরপেক্ষতা কী? দেশের প্রশ্নে আমি দেশের পক্ষ নেব এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে, এটা দৃশ্যমান। এ সত্য অস্বীকার করলে আমি নিরপেক্ষ হয়ে যেতাম! যে সরকার দেশের মানুষের পাশে থাকবে, দেশের মানুষের ভালোমন্দ বুঝবে, আমি সেই সরকারের পক্ষ নেব। নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না। আমাকে দেশের স্বার্থেই একটা পক্ষ নিতে হবে।

একজন তারকার দল-মতনির্বিশেষে ভক্ত থাকে। আপনারও আছে। তাদের কাছে আপনার অবস্থানটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

এখানে বিষয় হলো আমি কোন দলের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। সেই দলের ব্যাকগ্রাউন্ড কী। বর্তমান কর্মকা- কী। আমি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। দলটির অতীত ঐতিহ্য রয়েছে, বর্তমান কর্মকাণ্ডে পাহাড়সম অর্জন রয়েছে। আমি সেই দলের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি যে দলটা গণমানুষের কথা বলে। আপনি উন্নয়ন দেখুন এই সরকারের। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, পদ্মা সেতু হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে, রাস্তাঘাটের চেহারাই বদলে গেছে। এসব কিছু বিবেচনা করে আমি এদের পক্ষে ভোট চাইতেই পারি।

আর আমার ভক্তদের উদ্দেশে এটাই বলতে চাই, পক্ষ নেবেন দেশের স্বার্থে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন কে আপনার ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাবে। যে সরকার দেশের উন্নয়ন সাধন করে, নাগরিকের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়, আমি শাকিব খান সেই সরকারের পক্ষে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন...

একজন মমতাময়ী মা। তার পরম মমতায় এই দেশে আশ্রয় পেয়েছে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। নিমতলী ট্র্যাজেডির পর রীতা-রুনাকে নিজের মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, অসহায় দুঃস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি সদ্যপ্রয়াত আমজাদ সাহেবের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তা অভাবনীয়। এসব মানবিক কর্মকা- শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। ওনার দৃঢ়চিত্তের পরিচয় পেয়েছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়। কত শত বিদেশি সংস্থার চাপ উনি আমলে নেননি। এতে প্রমাণ হয় বাংলাদেশও একটা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। আর একজন নাগরিক হিসেবে দূর থেকে আমি তখন শ্রদ্ধায় সালাম করেছি আমাদের নেত্রীকে।

আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে তার কাছে আপনার চাওয়া কী থাকবে?

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি সিনেমা হল চাই। প্রতিটি জেলায় একটা করে সিনেপ্লেক্স চাই আগামী সরকারের কাছে।

বলেছিলেন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। এরপর সিদ্ধান্ত বদলালেন।

আমি পার্টটাইম কোনো কিছুই পছন্দ করি না। আমি যদি এবার নির্বাচনে অংশ নিতাম তাহলে আমার কর্মকা- দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেত। না পারতাম পুরোদমে জনগণের পাশে থাকতে, না পারতাম পুরোদমে সিনেমায় থাকতে। এতে তিন পক্ষ বঞ্চিত হতো। এক পক্ষ আমি নিজে, এক পক্ষ আমার সিনেমার দর্শক, আরেক পক্ষ আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ। এসব কিছু বিবেচনা করে আমি সিদ্ধান্ত বদল করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :