ভোলা-২

আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০২

ভোলা প্রতিনিধি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বড় দুটি দল একে-অপরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রার্থীকে দেখা গেলেও মাঠে দেখা যায়নি বিএনপির প্রার্থীকে। তবে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম নিজ বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন বলে দাবি করেন।

বুধবার দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজনের বাধার মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছেন না তিনি, নিজ বাসায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, তিনি ভোলায় আসার পর এ পর্যন্ত  দুই মামলায় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে  অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। রির্টানিং অফিসার ও প্রশাসনকে ২৪টি অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি পুলিশ প্রটেকশন চাইলেও তাকে তা দেয়া হচ্ছে না। তবে যতই বাধা আসুক শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাফরুজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
অন্যদিকে নিজ বাড়িতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল। তিনি দাবি করেন বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমকে কেউ বাধা দেয়নি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘২০০১ সালের পর তার (হাফিজ) নির্দেশে দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই কারণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তাই তিনি লোকলজ্জায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।’

সংবাদ সম্মেলনের পর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল।

দুটি পৌরসভা, দুটি উপজেলা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভোলা-২ আসনে তিন প্রার্থীর অন্যজন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/মোআ)