সস্তার সানগ্লাসে বিপদ
প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১৫
রোদ কিংবা ধুলাবালি থেকে চোখ ঢাকাতে অনেকে চোখে পড়েন সানগ্লাস। চোখ সুরক্ষিত রাখতে কেউ কেউ ফুটপাত থেকে সানগ্লাস কেনেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সস্তার সানগ্লাসে সাময়িক আরাম আর ফ্যাশন করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছে সাধারণ মানুষ।
সস্তার এই সানগ্লাসে তৃতীয় শ্রেণির প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকানোর কোনো ক্ষমতা এই প্লাস্টিকের নেই। উল্টা চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের সর্বনাশের কারণ। সাধারণত রোদে বের হলে আমরা চোখ দুটি একটু কুঁচকে থাকি। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে কনস্ট্রিকটিং। এতে কিছুটা হলেও অতিবেগুনি রশ্মি চোখে কম প্রবেশ করে। কিন্তু সস্তার সানগ্লাস পরলে চোখে সরাসরি রোদ লাগে না ফলে বড় বড় চোখেই তাকানো হয়। সেই সুযোগে প্লাস্টিকের চশমা ভেদ করে অতিবেগুনি রশ্মি ঢুকে পড়ে চোখের মধ্যে।
টানা কয়েক বছর সস্তার এই সানগ্লাস পরলে চোখে বাসা বাঁধছে অসুখ। অতিবেগুনি রশ্মি দীর্ঘদিন চোখে পড়তে থাকলে চোখে ছানি হতে পারে। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হতে পারে, দেখা দিতে পারে চোখের ভেতরের বিশেষ ক্যানসার।
ফুটপাথের সানগ্লাসের পাওয়ারের কোনো ঠিক থাকে না। ভ্রান্ত পাওয়ারের জন্য এ ধরনের চশমা পরে মাথাব্যথা হতে পারে ক্রেতার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একমাত্র পলিকার্বোনেট লেন্সই অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে পারে। অপটোমেট্রিস্টের কাছে গিয়ে সানগ্লাস পরীক্ষা করিয়ে নিন। নয়তো বাজার চলতি ইউভি লাইট কিনেও সানগ্লাসের ওপর পরীক্ষা করা যেতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/এজেড)