আমজাদের দাফন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

মৃত্যুর ছয় দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে আনা হয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার আমজাদ হোসেনের মরদেহ। কিন্তু তার মরদেহ দফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেননি প্রয়াত নির্মাতার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান।

আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে দোদুল বলেন, ‘বাবার ইচ্ছা ছিল আমাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে দাদির কবরের পাশে যেন তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু মায়ের ইচ্ছা বাবার কবর ঢাকায় হবে। তাই এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আজই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এদিকে বেলা ১১টার দিকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ প্রয়াত নির্মাতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মরদেহ আনা হয় আমজাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে চ্যানেল আই ভবন প্রাঙ্গণে। একন থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে তাকে দাফন করা হবে সেখানে।

গত ১৪ ডিসেম্বর ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পরিচালক আমজাদ হোসেন। তার চিকিৎসায় ব্যয় হয় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। হাসপাতালের এত টাকা খরচ মিটিয়ে বাবার মরদেহ দেশে আনতে পারছিলেন না দুই ছেলে। তাই মরদেহ দেশে আনতে বিলম্ব হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় মরদেহে দেশে আনা হয়।

এর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত ১৮ নভেম্বর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আমজাদ হোসেনকে। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্মাতাকে ব্যাংককে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ব্যাংকক নিয়েও ফেরানো যায়নি আমজাদ হোসেনকে।

ঢাকা টাইমস/২২ ডিসেম্বর/এএইচ