ঢাকা-৭

নৌকা-ধানের শীষকে টেক্কা দিতে চাই

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৭

বোরহান উদ্দিন

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-৭। লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত আসনটি। এবারও নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হবে-এমনটা মনে করছেন ভোটাররা। তবে  প্রধান দুই দলের প্রার্থীকে টেক্কা দিতে চান গণফ্রন্টের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন। পেশায় আইনজীবী রিয়াজ উদ্দিন আদি ঢাকার সন্তান।

দশম সংসদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে প্রায় ১০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন রিয়াজ। এবার সেই ব্যবধান কয়েকগুণ বাড়বে বলে বিশ্বাস তার। ঢাকা টাইমসের সঙ্গে নিজের প্রচার-প্রচারণা, নির্বাচনী ভাবনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন রিয়াজ উদ্দিন।

গতবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দশম সংসদ নির্বাচনে ইসির নিয়ম অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোট ভোটের একভাগ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হতো। আমি সে অনুযায়ী তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়ে প্রার্থী হয়েছিলাম। অনেক চাপ উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমি সম্মানজনক অবস্থানে ছিলাম।’

এবারের পরিস্থিতি কেমন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচন এবং এবারের নির্বাচন তো পুরোপুরি ভিন্ন। আমি এখন পর্যন্ত ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। শুরু থেকে নিয়মিত প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। আমি পুরান ঢাকার সন্তান। আমার পূর্বপুরুষও ঢাকার। যে কারণে আমাকে ভোটাররা নিজেদের প্রার্থী বলেই গ্রহণ করেছে। ৩০ তারিখ তারা ভালোবাসার জবাব দেবে।’

এর বাইরে আর কী কারণে ভোটাররা আপনাকে ভোট দেবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার মানুষ সিঙ্গাপুর চায় না। তারা চায় রাস্তাঘাটে বৃষ্টিতে পানি যেন না জমে। গ্যাস-বিদ্যুৎ যেন থাকে। কোনো চাঁদাবাজি যেন না হয়। এসব সমস্যা আমার চিহ্নিত করা। সুযোগ পেলে আমি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’

রিয়াজ জানান, মাদকও তার এলাকার অন্যতম সমস্যা। আর এগুলো স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের প্রশ্রয়ে হয়ে থাকে। এটা বন্ধ হলে এমনিতেই মাদক কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রচারণার ফাঁকে ফাঁকে সমস্যা ও সমাধানের পথ দেখাচ্ছি ভোটারদের। তারা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করছে আমার কথাগুলো।’

অন্য প্রার্থী থেকে নিজেকে কীভাবে আলাদা করবেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মানুষ আসলে প্রতীক দেখে ভোট দেয় এটা যেমন ঠিক, তেমনি ব্যক্তি দেখেও ভোট দেয় এটাও ঠিক। এই আসনে এবার সেটাই হবে। আমার শৈশব, কৈশোর সব কেটেছে এখানকার ভোটারদের সঙ্গে। তারা আমাকে চিনেন, জানেন। এছাড়াও এবার দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন শারীরিকভাবে অসুস্থ। যদিও তার পক্ষে প্রচারণা বেশ হচ্ছে। অন্যদিকে আরেক প্রার্থী যিনি এখানকার মানুষ নন। আমাকে ভোটারদের বেছে নেয়ার জন্য এটাও একটি কারণ হবে বলে আমি মনে করি।’