নড়াইলের দুই আসনেই মাশরাফীর প্রভাব
ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজায় মাতোয়ারা নড়াইল-২ আসন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার অন্য আসনটিতেও। মাশরাফী জোয়ারে নড়াইল-১ আসনেও সহজ হয়ের স্বপ্ন দেখছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
এমনিতে জেলার দুটি আসনই আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। সারা দেশে বিপর্যয়েও এখানে নৌকা জিতে আসছে। ক্ষমতাসীন দল চাইছে ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখার। আর বিএনপি এবং তার জোটের শরিকরা চাইছে এই ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটিয়ে ধানের শীষের জয় ছিনিয়ে আনতে। দুটি আসনের মধ্যে একটি শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে তার মার্কাও ধানের শীষ।
নড়াইল-১
কালিয়া ও সদর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবারই আসনটিতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে আসছেন নৌকার প্রার্থীরা। এবার প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। আর ধানের শীষ পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।
মাঠে আছেন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মিল্টন মোল্যা, ইসলামী আন্দোলনের খবির উদ্দীন ও এনপিপির মুনসুরুল হক।
মুক্তি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘যখন আমরা জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারিনি, তখনো এই আসনে জয় পেয়েছি। সারা দেশেই আমাদের শক্তিশালী অবস্থান। এবার এখানে জিতে বিজয়ের হ্যাটট্রিক করতে চাই।’
বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অতীতে যাই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার আমিই বিজয়ী হব।’
নির্বাচনী প্রচারে বাধার অভিযোগও করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে অনেককে এলাকা ছাড়া করেছে।’
নড়াইল-২
সদরের একাংশ ও লোহাগড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে মাশরাফির ভোটে লড়ার বিষয়টি এবার সারা দেশেই তুমুল আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। মাশরাফি সেখানে কতটা জনপ্রিয় সেটি শনিবার তার এলাকায় আসার পরই প্রমাণ মিলেছে। হাজার হাজার মানুষ মাশরাফীতে মাতোয়ারা। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ২০ দলের শরিক এনপিপির একাংশের চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান।
মাশরাফী গত দুই দিন ধরে ভোট চাইছেন। যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই ভিড় লেগে আছে। পথসভায় তিনি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না। বলছেন সুন্দর নড়াইল উপহার দেওয়ার কথা।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার সমর্থকদের ওপর যেন কোনো ধরনের হামলা বা বাধা দেওয়া না হয়, সেই অনুরোধ প্রকাশ্যেই করেছেন মাশরাফী।
তবে এনপিপির ফরিদুজ্জামান দাবি করছেন, তিনি বাধা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাইকিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। পোস্টার টানাতে পারছি না। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
এই আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলেও গত ১৯ ডিসেম্বর বিকালে দলের প্রার্থী ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ মাশরাফীকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন।