আতিক-প্রিয়াঙ্কার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪০

শেরপুর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শেরপুর-১ (সদর) আসনে গাড়িবহরে হামলার প্রসঙ্গে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। এই আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন চারবারের সাংসদ আতিউর রহমান আতিক। তার বিপরীতে ধানের শীষে নির্বাচন করছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। তিনি এবারের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিএনপি প্রার্থী শহরের মাধবপুর এলাকায় তার বাড়িতে এবং দুপুরে শহরের চকবাজার এলাকায় জেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সোমবার বিকালে সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে যাই প্রচারের জন্য। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা আমার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার সঙ্গে থাকা খালা, ভাই, অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা আহত হন। এছাড়া আমার নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। পরে বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে মৌখিক এবং লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি।’

সর্বকনিষ্ঠ এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি ক্লিয়ার একজন মানুষ। নির্বাচন করতে এসেছি। আমার ওপর হামলা ও মামলা করে কী লাভ। আমি কারো পেছনেও নেই, আগেও নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জিতলে জিতবো, হারলে হারবো। যে জিতবে তাকে সম্মানের সঙ্গে ওয়েলকাম করবো। এখন আমার সাথে ৩০ তারিখ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবুও আমি নির্বাচন করবো। প্রয়োজনে আমি নিজেই প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করবো।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উদ্দেশে বলেন, ‘দয়া করে আমার দলের লোকজন, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালাবেন না।’

অপরদিকে আতিক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের জন্য আমার দুই কন্যা ওই দিন বিকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমার দুই মেয়ের গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপির কর্মীরা।’

বর্তমান সাংসদ বলেন, ‘এই আসনে বিএনপির মূল প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী। কিন্তু ঋণখেলাপির কারণে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এর পরিবর্তে তার অর্বাচিন ও উন্মাদ মেয়েকে দিয়ে নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে এবং নির্বাচনকে বানচালের পাঁয়তারা চলছে।’  

এ সময় তিনি তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, নৌকার প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগও করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/জেবি)