যশোর-৩: আমাকে নেতাশূন্য করে দেওয়া হয়েছে
পদধারী আড়াই শ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন দাবি করে যশোর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, তাকে একরকম নেতাশূন্য করে দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি লড়ে যাবেন এবং বিশ্বাস করেন নির্বাচনের দিন ধানের শীষের ভোটাররা তার কর্মী হয়ে কাজ করবেন।
আজ বুধবার বিকেলে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন অমিত। সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘এর আগের প্রেস কনফারেন্সে আমি আশঙ্কা করে বলেছিলাম, আজ আমার সাথে যেসব রাজনীতিককে দেখছেন, আগামী দিনে তাদের অনেককে আমার পাশে দেখাপ যাবে না। বাস্তবে তা-ই হয়েছে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন আমার ডানে-বাঁয়ে কোনো নেতা নেই। আমি শুধু আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি।’
আমি বলেন, ‘আমি এখন একা, নিঃসঙ্গ। প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকার জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রায় আড়াই শ পদধারী নেতাকে আটক করে আমাকে এক রকম নেতাশূন্য করে দেওয়া হয়েছে।’
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলা বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে অমিত বলেন, ‘তারা আমার নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন।’
নিজেও গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন অমিত। বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তার হলে আমার মা নার্গিস বেগম এবং স্ত্রী সোহানা পারভীন নির্বাচনের কাজ পরিচালনা করবেন।’
গতকাল দুপুরে যশোর জেলা বিএনপির সেক্রেটারি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর বিকেল তিনটার কিছু সময় পর স্ত্রী সোহানা পারভীনকে সঙ্গে নিয়ে প্রেসক্লাবে আসেন অমিত।আগের দিন সকালে ঢাকা-মাগুরা সড়কের পাঁচবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সদর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নূরুন্নবী ও যুবদলের ফতেপুর ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন বাবুকে অমিতের গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসব গ্রেপ্তারের মধ্যে অমিত ৩০ ডিসেম্বর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবন বলে জানান। বলেন, ‘আমার সব নেতাকর্মীকে জেলাখানায় বন্দি করে রাখার পরও বিশ্বাস রাখি, ধানের শীষের ভোটাররা সেদিন কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।’
(নির্বাচিত/২৬ডিসেম্বর/মোআ)