‘ভোট করার সাধ চিরদিনের মতো ভুলিয়ে দেবো’

সাতক্ষীরা প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২০
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরা-১ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে দুই প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় তালায় ১০ জন এবং শ্যামনগরে আর ২০ জন আহত হয়েছেন।

এসময় অন্তত: ৬ টি গাড়ি ভাঙচুর, একটি নির্বাচনী অফিস ও একজন চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা সাতক্ষীরা-১ আসনের জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী সৈয়দ দীদার বখতকে হুমকি দিয়ে বলেছে ‘এখানে এলে নতুন খবর হবে। ভোট করার সাধ চিরদিনের মতো ভুলিয়ে দেবো।

বুধবার রাত আটটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাতক্ষীরা-১ আসনের ( তালা কলারোয়া) জাতীয় পাটির প্রার্থী কেন্দ্রিয় জাপা নেতা সৈয়দ দীদার বখত এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তিনি কলারোয়ায় গণসংযোগ শেষ করে বিকালে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখন নগরঘাটা ৩০ মাইল এলাকায় তার গাড়িবহরে হামলা করেন নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জজামান লিপু ও তার সহযোগীরা।

তার বহরের পথরোধ করে তারা তার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তাদের হামলা থেকে তিনি নিজে রক্ষা পেলেও রক্ষা পাননি দলীয় নেতা কাজী আসাদ, আবদুস সোবহান, উপজেলা জাপা সেক্রেটারি এসএম মো. আলাউদ্দিন, শেখ মিরাজ, শেখ জাহাঙ্গির, বিশ^নাথ, শরিফুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

তিনি অভিযোগ করেন, তার আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তালা ও কলারোয়া এলাকায় দিন রাত মহড়া দিচ্ছে। এর ফলে তিনি মুক্তমনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না। তার দলের কোনো কর্মীও কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন,‘ হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বলেছে ভোটের সাধ মিটিয়ে দেবো। আর যেনো কোনোদিন এখানে দেখি না।’

তিনি জানান, এসব বিষয় তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি শেখ আজহার হোসেন , সহসভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা কালু, তালা উপজেলা জাপা সেক্রেটারি এসএম আলাউদ্দিন, জেলা ছাত্র সমাজ সভাপতিস কায়সারুজ্জামান হিমেল, সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, যুব সংহতির সাবেক সভাপতি সাখায়াতুল করিম বিপুল প্রমুখ।

এর আগে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালিতে বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার একটি পথসভায় হামলা করে মহাজোট প্রার্থী এসএম জগলুল হায়দারের সমর্থকরা। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন বিকল্পধারার তিন কর্মী বিল্লাল , আহসান ও সফিকুল।

গোলাম রেজা জানান, ‘হামলাকারীরা তাকে বহনকারী একটি গাড়িসহ কমপক্ষে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পাতাখালি ছাড়াও তার বহরের ওপর বুড়িগোয়ালিনী লঞ্চঘাট ও নোয়াবেকিতে হামলা হয়েছে।

পরে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে বিকল্পধারা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে।

রাতে তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন তার প্রতিপক্ষের লোকজন ফের সংগঠিত হচ্ছে। রাতে তারা ফের হামলা করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

এদিকে পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার উপস্থিতিতে বিকালে তার বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারা তার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। লুটপাট করেছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হন সুজন, গফুর, কাসেম, সাজিদ ও রোকনুজ্জামানসহ পাঁচজন। তিনি বলেন, অতর্কিত এই হামলায় তার লোকজন মার খেয়েছে। গোলাম রেজা এ এলাকায় সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন জানান, সন্ধ্যায় বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা তার লোকজন নিয়ে মুন্সিগঞ্জ মুনসুর সরদারের গ্যারেজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। তাদের বেপরোয়া মারধরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হামলার সময় তিনিসহ কয়েক নেতা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে তিনি ও অন্য নেতারা পুলিশের সহায়তায় শ্যামনসগরে ফিরে আসেন। রাতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গেছেন।

ঢাকা টাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :