মির্জাপুরে নৌকার জন্য প্রবাস থেকে দেশে দুই নেতা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:২৯

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সুদূর প্রবাস থেকে দেশে এসে দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একাব্বর হোসেনের পক্ষে তারা এ প্রচারণায় নেমেছেন।

প্রবাসী ওই দুই নেতা হলেন হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন ও কানাডা প্রবাসী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ক্রীড়াবিদ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।

উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ লিটন দীর্ঘদিন যাবত চীনের প্রাদেশিক শহর হংকংয়ে ব্যবসা করছেন। তিনি হংকং শাখার আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বও সুনামের সঙ্গে পালন করে আসছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হংকং থেকে দেশে আসেন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করা ছাড়াও তার নিজ ইউনিয়ন বহুরিয়াতে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রাতদিন প্রচারণা চালাচ্ছেন।

আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের ধারা চালু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আর সে লক্ষেই তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হংকং থেকে দেশে এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে ভাওড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কানাডা প্রবাসী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ক্রীড়াবিদ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল দীর্ঘদিন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কানাডা প্রবাসী হওয়ায় তিনিও ছেলেদের সঙ্গে কানাডা অবস্থান করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সুদূর কানাডা থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে দেশে চলে আসেন।

সত্তরোর্ধ মোফাজ্জল হোসেন দুলাল নৌকার প্রার্থী একাব্বর হোসেনকে বিজয়ী করতে সার্বক্ষণিক সফর সঙ্গী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এছাড়া তার নিজ ইউনিয়ন ভাওড়াতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সেখানকার নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। তাছাড়া শেখ হাসিনার কাছে আমি ব্যক্তিভাবেও ঋণী। তিনি ১৯৯৬ সালে হার্টের চিকিৎসার করার জন্য আমাকে নগদ অর্থ সহায়তা করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলে সূদুর কানাডা থেকে জীবনের শেষ সময়ে দেশে এসে নৌকার পক্ষে কাজ করছি।’

ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বরই/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :