ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকার প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, গুলিতে নিহত এক

ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার পর সহিংসতায় সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। তার নাম ইসরাইল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই পক্ষই তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে।

রবিবার সকালে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। ইসরাইল রাজঘর গ্রামের সায়েদুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজঘর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা তার গাড়িতে হামলা করে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাটিপেটা ও গুলি করে। বিদ্ধ হন ইসরাইলসহ চারজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায় জানান, পৌনে ১১ টার দিকে মহাজোট প্রার্থী এই আসনে আসার পরপর দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। তারা ছয়টি কক্ষের মধ্যে দুটি থেকে দুটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে গেছে।

আধা ঘণ্টা পর বিএনপি প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অর্ধশত ককটেল নিক্ষেপ করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বাড়ির সামনে রাখা দুটি মাইক্রোবাসের আগুনে দেওয়া হয়। হামলাকারীরা সেখানেও বেশকিছু ককটেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সদর উপজেলার জগৎসার গ্রামে ও মজলিশপুর আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আটজন আহত হয়। সকালে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্কুল ভোটকেন্দ্রে আট থেকে ১০টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটে।

ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/ডব্লিউবি