গোপালগঞ্জে জামানত বাজেয়াপ্ত আ.লীগ বিরোধী প্রার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২০

গোপালগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে দুইটি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও হতে পারেননি। তিনটি আসনেই কোনো প্রার্থীই হাজারের কোটা পার হতে পারেননি।

তিনটি আসনে বিএনপির তিন প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৪৬৬ ভোট। এর থেকে বেশী পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। তারা পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ ভোট।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসনেই জামানত হারিয়েছেন সকল প্রার্থী। তিনটি আসনে মোট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১২জন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন, বিএনপির তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিনজন, স্বতন্ত্র দুই ও বাসদের ১ প্রার্থী ভোটে লড়েন।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের শতকরা ৯৯দশমিক ৭৪ ভাগ। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস. এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মারুফ শেখ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী উজীর ফকির সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ ভোট। আসনটিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ-২ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের শতকরা ৯৯দমমিক ৩৫ ভাগ। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তসলিম শিকদার ৬০৮ ভোট পেয়েছেন। আর জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ পেয়েছেন মাত্র ২৮৬ ভোট। আসনটিতে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন্।

একই অবস্থা গোপালগঞ্জ-১ আসনে। এ আসনে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান ৩ লাখ ৩ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যা কাস্টিং ভোটের শতকরা ৯৯দশমিক ৩৬ ভাগ।

এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭০২ ভোট। এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ৫৭ ভোট ও বাসদের ইছাহাক মোল্যা মই প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট।

আসনটিতে ফারুক খানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা জামানত হারিয়েছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঢাকা টাইমস/৩১ডিসেম্বর/প্রতিবেদক/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :