দুই যুগে ‘ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্ট’

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৭

মাসুদ আল রাজী

নব্বইর দশকে এদেশে ভ্রমণ অনেকটা খরচসাপেক্ষ ছিল। তখন দেশে দর্শনীয় স্থানের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। ভ্রমণপিপাসুদের অনেকেই তখন কক্সবাজার ঘুরতে যেতেন। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অত্যাধিক খরচের কারণে ইচ্ছে থাকলেও ভ্রমণের সুযোগ সবার হতো না। সেই নব্বইর দশকে শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভ্রমণপিপাসু কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি সংগঠন খুললেন। নাম দিলেন ‘ট্যুরিস্ট ক্লাব, সাস্ট’। দেখতে দেখতে সংগঠনটি ২৪ বছর পার করছে। 

সে সময়ে শাবিপ্রবি ও সিলেটের মানুষজন এতটাই ভ্রমণবিমুখ ছিল যে, অনেকে এই ক্লাবটা নিয়ে রসিকতা করতেন। ‘ট্যুরিস্ট ক্লাবও একটা ক্লাব’ এটা অনেকেই মেনে নিতে চাইতেন না। সেই ক্লাবটি এখন ক্যাম্পাসে বিশাল এক পরিবারের। ‘ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্ট’ এখন আর ভ্রমণেই আটকে নেই। ‘চ্যারিটি আর রিসার্চ’ এই দুই উইং নিয়ে ট্যুরিস্ট ক্লাব বর্তমানে সাস্টের অন্যতম বড় এবং ভ্রমণবিষয়ক একমাত্র সংগঠন। 

ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্টের সাধারণ স¤পাদক পিয়াল আহমেদ শান্ত জানালেন এই বছরের ক্যা¤পাস লাইফের তাদের সেরা ট্যুরের কথা। মাত্র কিছুদিন আগেই তারা ঘুরে এসেছেন চেরাপুঞ্জি, দার্জিলিং আর সেনাংপেডাং। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন এরকম ট্যুরের আয়োজন করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কেননা, ট্যুরের খরচ যেমন অনেক, তেমনি সময় বের করা কঠিন।

ক্লাবের আরেক ট্যুর বিশারদ রিসার্চ উইং এর হেড আসাদুজ্জামান নয়ন জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানালেন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর তিনি সবচেয়ে উপভোগ করেন।

ক্লাবের ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর যখন হচ্ছিল তখন তিনি খৈলাছড়া, মহামায়া আর চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ট্রেকিং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের কনভেনর ছিলেন, পুরো টিম নিয়ে কাটিয়ে এসেছেন তিন দিন। তার মতে ক্লাবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর ট্যুর ছিল সেটি।

(ঢাকাটাইমস/১জানুয়ারি/এজেড)